ASANSOL

আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক ও আড্ডার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বনিকসভার সমন্বয় বৈঠক

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আসানসোলে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার কনফারেন্স হলে সোমবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলমের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের একটি সমন্বয় বৈঠক হয়। এই বৈঠকে আড্ডার চেয়ারম্যান কবি দত্ত সহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সকল ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা ছিলেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন বিভিন্ন বনিকসভা বা চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।এদিনের এই বৈঠক প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, কিছুদিন আগে দুর্গাপুরে যে সিনার্জি হয়েছিলো, এদিনের বৈঠকে তার ফলোআপ করা হয়েছে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, সেই সিনার্জিতে চেম্বার অফ কমার্সের তরফে যে সমস্যাগুলি উত্থাপন করেছিল, এদিনের বৈঠকে দেখা গেছে যে প্রায় সবগুলিই সমাধান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাকি যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেসব কিছুও দ্রুত করা হবে।


এই বিষয়ে শিল্পপতি পবন গুটগুটিয়া বলেন, জেলা প্রশাসন এবং চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সমন্বয় বৈঠক হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, দুর্গাপুরে যে সিনার্জি হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই বৈঠকটি হয়েছে। দুর্গাপুরের সেই সিনার্জিতে উত্থাপিত বিষয়গুলির উপর পদক্ষেপ কতটা এগিয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এই বৈঠকে অনেক বিশেষ বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে আসানসোলে সাতাইশা মোড় থেকে জাতীয় সড়কের দিকে যাওয়ার রাস্তাটিও ছিল। ঐ রাস্তার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যদি এই রাস্তাটি তৈরি করা হয়, তাহলে নিয়ামতপুর কুলটি ইত্যাদি এলাকার মানুষকে জাতীয় সড়কে যেতে আসানসোলের দিকে আসতে হবে না। তারা সাতাইশা মোড় থেকেই জাতীয় সড়কে পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু সেই রাস্তার নির্মাণ কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ২০২২ সালের জুন মাসে দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে চেম্বার অফ কমার্সের প্রতিনিধি হিসেবে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম। তারপর নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছিলো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়নি। ইসিএল বা ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের কিছু জমি রয়েছে যার জন্য ” নো অবজেকশন ” সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। এদিনের বৈঠকে এমন কিছু প্রশাসনিক সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ ছাড়া, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বার্নপুর বিমানবন্দর শুরু করার বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বার্নপুর বিমানবন্দরের কাছে কিছু উঁচু গাছ রয়েছে যার কারণে সেখানে বিমানের উড়ান এবং অবতরণের অসুবিধা হচ্ছে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর সমাধানের পথ বার করা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । এই বিমানবন্দরটি দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। এদিনের বৈঠকে আরেকটি যে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে তা হলো দামোদর নদীর উপর একটি রোড ব্রিজ বা সড়ক সেতু নির্মাণের বিষয়টি। তিনি বলেন, এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাথে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। যার ফলে খুব কম সময়ে এই পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া যাওয়া সম্ভব হবে। যখন ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের ক্ষেত্রে সময়ের মূল্যকে সর্বোচ্চ বিবেচনা করা হয়, তখন দামোদর নদীর উপর এই সেতু নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *