ASANSOL

আসানসোলে লাইফলাইন হাসপাতালে বিক্ষোভ, ভুল চিকিৎসার অভিযোগ পরিবারের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ” পাইলস্ ” র মতো ছোট অপারেশন। সেই অপারেশন করার পরে ৪০ দিন ধরে মুমূর্ষু রোগী। আর এই অপারেশনের পরে ভুল চিকিৎসা ও গাফিলতির অভিযোগ তুলে সোমবার আসানসোলের কালিপাহাড়ির অদূরে ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি লাইফলাইন বেসরকারি হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন রোগীর মেয়ে সহ পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে ঐ হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে উঠা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি, ঐ রোগীর বর্তমান শারীরিক অবস্থার জন্য পরিবারের সদস্যদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন। আসানসোলের রেলপারের উত্তর ধাদকার বাসিন্দা সাধন পাল নামে ঐ রোগী এই মুহুর্তে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।


আসানসোলের রেলপারের উত্তর ধাদকার বাসিন্দা সাধন পালকে পাইলস্ অপারেশনের জন্য গত গত ২৯ জানুয়ারি আসানসোলের কালিপাহাড়ির অদূরে ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া ঐ লাইফলাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। ১ ফেব্রুয়ারি সেখানে তার অপারেশন হয়।
সোমবার সেই হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তার মেয়ে পূজা পাল অভিযোগ করে বলেন যে, সঠিক চিকিৎসার অভাবে তার বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি গত ৪০ দিন ধরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পূজা পাল আরো বলেন, যখন অপারেশনের তিনদিন পরে বাবাকে এই হাসপাতাল থেকে দুর্গাপুরে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করি, তখন জানা যায় যে বাবা দুবার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর, তাকে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখানে মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন বাবা দুর্গাপুরের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ৪০ দিন ধরে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন। বাবা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। এখন তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমরা সর্বস্বান্ত। পূজা পাল এদিন আসানসোলের এই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা ও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ এনেছেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন যে, আসানসোলের এই হাসপাতাল যেন তার বাবার চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে।


পুজা পালের এই অভিযোগ ও এদিনের এই ঘটনার পরে , অন্যান্য রোগীদের আত্মীয় পরিজনেরা এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়ার এবং রোগীদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখার অভিযোগ তোলেন।
তবে এই হাসপাতালের জিএম অলোক মিত্র এইসব অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রোগীর পরিবারের সদস্যরা রিস্ক বন্ডে বা নিজেদের ইচ্ছেয় হাসপাতালের কাগজে স্বাক্ষর করার পর স্বেচ্ছায় সাধন পাল নামে ঐ রোগীকে এই হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছেন । এখন তার অবস্থার অবনতির কারণ কি কারণে, তা তো তদন্তের বিষয়। যদি কারোর কোন অভিযোগ থাকে, তাহলে পরিবার তা লিখিতভাবে দিতে পারেন। যা বিবেচনা করে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *