দুর্গাপুরে বাড়ির সিঁড়ির রেলিংয়ে বস্ত্র বিপনির মালিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বাড়ির সিঁড়ির রেলিংয়ে গলায় দড়ির ফাঁস লাগালো বস্ত্র বিপনির মালিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো। বাড়ির ভেতর থেকে রহস্য জনক ভাবে দেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো দুর্গাপুরের বেনাচিতির জলখাবার গলি এলাকায়। মৃতের নাম অজয় রায় (৭৩)। তিনি বেনাচিতি বাজারের একটি বস্ত্র বিপনির মালিক ছিলেন।



পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একমাত্র ছেলে বৌমাকে নিয়ে অজয় রায় দুর্গাপুরেট বেনাচিতির জলখাবার গলি এলাকার বাড়িতে থাকতেন। ছেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে কর্মসূত্রে রবিবার কলকাতায় যায়। অজয়বাবুর দেখভালের জন্য একজন আয়া ছিলেন। সোমবার বেলার দিকে সেই আয়া সকালের কাজকর্ম করে কিছুক্ষণের জন্য নিজের বাড়িতে গিয়েছিলেন। দুপুরে তিনি অজয় বাবুর বাড়িতে আবার ফিরে আসেন। তখন তিনি দেখতে পান সিঁড়ির রেলিংয়ে মধ্যে গলায় দড়ির ফাঁস লাগালো ঝুলন্ত অবস্থায় অজয়বাবু ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কলকাতা থাকা ছেলেকে তা জানান। প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হয়। তারা দৌড়ে আসেন। খবর পেয়ে পৌঁছান আত্মীয় পরিজনেরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশও। পরে পুলিশ সেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে মৃত অজয়বাবুর বেয়াই জয়দেব কুন্ডু বলেন, আমি তো কলকাতা থেকে জামাইয়ের ফোন পেয়ে দৌড়ে আসি। তখন দেখি এই অবস্থা। কিছু বুঝতে পারছি না। রবিবারই তার একমাত্র ছেলে স্ত্রীকে নিয়ে কলকাতায় গেছেন। সোমবার তারা না ফেরায় আয়া বাড়িতে রাখা ছিলো। এদিন দুপুরে অজয়বাবু খাবারও খেয়েছেন। তবে তিনি বলতে পারছেন না যে, অজয়বাবু কেন এমনটা করলেন। তার কোন মানসিক অবসাদ বা অন্য কোন কিছু ছিলো কি না, তাও জয়দেববাবু বলতে পারেননি।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঐ বৃদ্ধকে বাড়ির ভেতরে সিঁড়ির রেলিংয়ে গলায় দড়ির ফাঁস লাগালো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে হচ্ছে, তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ছেলে এলে, তার সঙ্গে কথা বলা হবে।