দুর্গাপুরে সরকারি জমি বিক্রির প্রতিবাদ মারধরের অভিযোগ যুবককে, নাম জড়ালো শাসক দলের
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, চরণ মুখর্জি ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* সরকারি জমি বিক্রির প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদীকে মারধর করার অভিযোগ উঠলো। এই অভিযোগের তীর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে।7 রবিবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুর থানার গোপালমাঠ এলাকায় । ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি অভিযুক্তদের।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের গোপালমাঠের বনগ্রাম এলাকার ছোট্টু বাউরি প্রতিবাদী হওয়াতেই তাকে মারধর করে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে অল্প বিস্তর জখম হয়েছেন ছোট্টুর স্ত্রীও। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে মেল মারফত অভিযোগ দায়ের করেছেন দুর্গাপুর থানায়।




আরো জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার পড়ে থাকা জমিতে বাড়ি তৈরী হচ্ছিল। সরকারী এই জমি প্লট করে করে বিক্রির বিরোধিতা করে প্রতিবাদে সরব হন ছোট্টু বাউরি । অভিযোগ,স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত লোকজনই নাকি এই ঘটনায় জড়িত। এই অভিযোগ অস্বীকার করে ছোট্টুর বিরুদ্ধে পাল্টা মারধরের অভিযোগ করেছে অভিযুক্তরাই।
দুর্গাপুরের গোপালমাঠ সংলগ্ন বনগ্রাম এলাকায় রাষ্ট্রয়ত্ত সংস্থা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার একটি জমি রয়েছে। সেই জমির পাশে একটি পুকুরও আছে। ছোট্টু বাউরির অভিযোগ, প্লট করে করে সেই জমি মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিক্রি চলছে। রীতিমতো ঐ জমিতে বাড়িও তৈরী হচ্ছে।নআর এই অন্যায়য়ের প্রতিবাদ করাটাই ছিল আমার অপরাধ বলে দাবি ছোট্টুর। এলাকারই কিছু লোকজন দলবল নিয়ে গিয়ে রবিবার ছোট্টুর বাড়িতে চড়াও হয়। মারধর করা হয় তাকে। গুরুতর জখম অবস্থায় ছোট্টুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, এইসব হামলাকারীরা তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত।
যদিও, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছোট্ট বাউরির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সরকারি জমি বিক্রি করে দিচ্ছিল। আমরা তারই প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই জন্যই আমার উপর চড়াও হয়েছে। মাধব, জয়ন্ত সহ বেশ কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালায়। এরা সকলেই তৃণমূলের সাথে যুক্ত।
পাল্টা অভিযোগ করে জয়ন্ত বাউরি বলেন, আমরা জমিতে বাড়ি বানাচ্ছিলাম। ছোট্টু বাউরি বলছে সেখানে তাদেরও জায়গা আছে। সে আমাদের কাজে বাধা দেয়। তার প্রতিবাদ আমরা করতেই সে আমাদের ওপর হামলা চালায়। উল্টে আমাদের নামেই মারধরের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে, পুলিশ জানায়, একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, শাসক দলের তরফে এই নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি। ঠিক কি ঘটনা তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।