ASANSOL

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভোটার তালিকা নিয়ে ডিএমের সর্বদলীয় বৈঠক, অনলাইন আবেদন নিয়ে একমত শাসক ও বিরোধী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ ২০২৬ এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তাই রাজ্যের শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসনের তরফেও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ করে ভোটার তালিকা নিয়ে সব দলেরই নানা ধরনের অভিযোগ উঠে আসছে।এমন পরিস্থিতিতে, সোমবার আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক বা ডিএম কার্যালয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস সহ সব দলের প্রতিনিধিরা ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ করার উপর জোর দেন। তারা এই কাজের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।


এই বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম বলেন যে, এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সকল রাজনৈতিক দলের সাথে একটি সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে  ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এই ভোটার তালিকা কিভাবে পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ করা যায় সে সম্পর্কে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০২৫ এর ৬ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরেও, অনলাইনে যেসব নাম যুক্ত হয়েছে অথবা যারা মারা গেছেন বা স্থানান্তরিত হয়েছেন, সেই সকল নাম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ভোটার তালিকায় কোনও ধরণের অস্বচ্ছতা না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। জেলাশাসক আরো বলেন, এদিন আরও বা রির্টানিং অফিসার পর্যায়ে বৈঠক করা হয়েছে। এরপরে এআরও বা এ্যাসিস্টেন্ট রির্টানিং অফিসার পর্যায়ে জেলার বিধান সভা ভিত্তিক বৈঠক করা হবে।


অন্যদিকে, এই বৈঠকের পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আকাশ মুখোপাধ্যায় বলেন, এদিনের বৈঠকে ভোটার তালিকা ও সেটিকে সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেন, অনেক ভোটারের নাম অনলাইনেও নিবন্ধিত বা তোলা হয়েছে। যে কারণে ৬ জানুয়ারি , ২০২৫ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেও রাজনৈতিক দলগুলির মনে ভোটার তালিকা নিয়ে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এইসব প্রশ্নগুলির সমাধান করা প্রয়োজন আছে।  তাই যারা অনলাইনে ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাদের নাম চূড়ান্ত করার আগে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন করা হোক।  তবেই ভোটার তালিকার স্বচ্ছতার উপর সকলের আস্থা থাকবে।

বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে যে কোনও ভোটার মারা যান বা স্থানান্তরিত হন, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয় না। আবার দেখা গেছে যে অনেক ভোটারের নাম একটি এপিক নম্বরে রয়েছে। তাই ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করার জন্য এই সমস্ত বিষয়গুলির সংশোধন করা ও সব সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। তারা বলেন, আমরা এই ব্যাপারে বেশ কিছু পরামর্শ জেলাশাসককে দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *