দুঃসাহসি টুম্পা পরাস্ত করল ছিনতাইবাজদের
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : ( Asansol Raniganj News ) ছিনতাইবাজদের হাত থেকে, নিজের ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল, উদ্ধার করে, ছিনতাইকারীদের ধরে, আটকে রেখে স্থানীয়দের সহায়তায় ২ ছিনতাইবাজ কে স্থানীয়রা উত্তম মধ্যম দিয়ে, পুলিশের হাতে তুলে দিল সাহসী মহিলারা। মঙ্গলবার সকালে এমনই বিষয় লক্ষ্য করে, হতবাক রানীগঞ্জের শিল্পাঞ্চল হিসেবে খ্যাত, মঙ্গলপুর শিল্প তালুক এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, মঙ্গলবার কাজোড়া গ্রামের বছর ত্রিশে দিনমজুর মহিলা টুম্পা বাগদি, যাচ্ছিলেন মঙ্গলপুরে নিজের কর্ম ক্ষেত্রে। পরিবার চালানোর খরচ লক্ষ্য করে, স্বামী, স্ত্রী দুজনে কাজে যুক্ত রয়েছেন। তারই মধ্যে স্ত্রী কাজ করছেন মঙ্গলপুর শিল্পতালকের একটি প্লাস্টিক তৈরীর কারখানা।




দেখা যায়, মঙ্গলবার সে যখন মঙ্গলপুরের রাস্তা ধরে নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন, তখন দুই দুস্কৃতকারী তাকে ফোনে কথা বলতে দেখে, ধাক্কা দিয়ে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। যদিও মুহূর্তে টুম্পা বাগদি তাদের কাছে থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে, স্থানীয় মানুষজনেদের এ বিষয়ে জানালেই, তারা ওই ২ দুষ্কৃতকারীকে পাকড়াও করে রাখে। বেশ কিছু জন চড় থাপ্পড়ও মারে তাদের। টুম্পা দাবি করে, অন্যায় ভাবে এরকম দুষ্কৃতীমূলক কাজ তোমরা করেছ, তার জন্য তোমাদের পুলিশে দেওয়া হবে, আর জেনে রাখো আমরা একা নই আমাদের সঙ্গে আছে বাউরী সমাজ, এই বলে দুষ্কৃতকারীদের হুঁশিয়ারি ও দেয় সে। কয়েক মুহূর্ত এরূপভাবে বাকবিতণ্ডা চলতেই পুলিশের কাছে এ বিষয়ে খবর গেলে, রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মঙ্গলপুর এর কাছে আটকে রাখা, ওই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করে নিয়ে আসে।
সাধারণ দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারের একজন মেয়ে যে এভাবে দুষ্কৃতিদের সঙ্গে লড়াই করে নিজের ছিনিয়ে নেওয়া সামগ্রী আবার ফিরিয়ে নিতে পারে তা দেখে অবাক সকলে খুশি তার সঙ্গী সাথীরা। জানা গেছে ধৃত ওই দুই দুষ্কৃতী একজন বছর ২৮ এর মোহাম্মদ শেখ ওয়ারিয়ার ঝুপড়ি মহল্লার বাসিন্দা,আর অপরজন বছর ১৮র হিরু ক্ষেত্রপাল, কাদা রোড বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত এই দুষ্কৃতীদের কে জিজ্ঞাসা বাদ করা হচ্ছে, তারা এলাকায় আর কোন দুষ্কৃতীমূলক ঘটনা সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা, সেইসব সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।