আসানসোলে পুকুর ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ, বুলডোজার দিয়ে ভাঙলো পুরনিগম ও বিএলআরও দপ্তর
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়/ সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : ( Asansol News Today ) পুকুর বুজিয়ে বা ভরাট করে চলছিল বেআইনী বা অবৈধ নির্মাণ। সেই অভিযোগ পেয়ে সোমবার ঐ বেআইনী নির্মাণ ভাঙলো আসানসোল পুরনিগম। আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাশে পলাশডিহার জ্যোতিনগরের এলাকার এই ঘটনা। স্বাভাবিক ভাবেই আসানসোল পুরনিগম ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর বা বিএলআরও অফিসে এই পদক্ষেপে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।




জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আসানসোলে পলাশডিহার জ্যোতিনগর এলাকায় ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাশে পুকুর ভরাট করে বেআইনী নির্মাণের কাছ চলছিল।এই অভিযোগ পেয়েছিলেন আসানসোল পুরনিগম এবং ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা। তারা সেই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছে নিজেদের মতো করে তদন্ত করেন। তাতে আসানসোল পুরনিগম ও বিএলআরও অফিস জানতে পারে, অভিযোগ একে সত্যি। পুকুর ভরাট করে এলাকারই বাসিন্দারা এই পুকুর ভরাট করা বেআইনি নির্মাণ করছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়ে এফআইআরও করা হয়েছে।
সোমবার ঐ এলাকায় পৌঁছান আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরকে শ্রীবাস্তব ও বিএলআরও অফিসে আধিকারিকদের নেতৃত্বে একটি দল। শেষ পর্যন্ত বুলডোজার দিয়ে সেই বেআইনী নির্মাণ ভাঙে আসানসোল পুরনিগম ।এদিন এই প্রসঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এখানে পুকুর ভরাট করে বেআইনী নির্মাণ চলছিল। অভিযোগ পেয়ে সেই বেআইনী নির্মাণ ভেঙে ফেলা হল। পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরো বলেন, শুধু আসানসোল শহর নয় আসানসোল পুরনিগমের সব এলাকা যেমন কুলটি, বার্নপুর, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জেও অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই প্রক্রিয়া এই রকম ভাবেই চলবে।
পুর প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে তাদের দাবি যেন দ্রুত এই পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।