চুরির চার ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার চোরাই সামগ্রী, পরিচারিকা সহ গ্রেফতার দুই
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ ( durgapur latest news ) একটি বাড়িতে চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয় বিকেল পাঁচটার সময়। তারপর পুলিশ তদন্তে নামে। আর মাত্র চার ঘন্টার মধ্যে বমাল সমেত গ্রেফতার দুই। তার মধ্যে একজন বাড়ির পরিচারিকা। উদ্ধার করা হয়েছে বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সব সামগ্রী। এই চুরির ঘটনার কিনারা করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানা ও সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ বড়সড় সাফল্য পেলো ।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি ( পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন তুলে ধরেন পুলিশের এই সাফল্য।




পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের এ কে বিথি এলাকায় এক গৃহস্থের বাড়িতে চুরি হয় অলঙ্কার ও নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন। সেই চুরির অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশের টিম নেমে পড়ে তদন্তে । আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানার বড় সাফল্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার। বৃহস্পতিবার ঐ বাড়ি থেকে চুরি যায় নগদ ২ লক্ষ টাকা, ২৫ ভরি সোনা ও ১ কেজি রুপোর গয়না।
এদিন দুর্গাপুর থানায় ডিসিপি ( পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, তদন্তকারী পুলিশ প্রথমেই বাড়ির তিন জন কাজের লোককে আটক করে তদন্ত শুরু করে । তার থেকেই উঠে আসে দীপা শর্মা নামে এক পরিচারিকার সাথে দিল্লীর বাসিন্দা দীপা যাদবের যোগাযোগের কথা। তারা এই চুরির কাজ করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। পুলিশ দীপা শর্মাকে জেরা করে দীপা যাদবের মোবাইল ফোনের লোকেশন পায় করে। সেই সময় দীপা যাদব দুর্গাপুর ষ্টেশনে ছিল । সে কালকা মেলের ট্রেনের টিকিট কেটে দিল্লী যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছিল। পুলিশ দ্রুত দুর্গাপুর ষ্টেশনে পৌঁছায় ও দীপা যাদবকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে ট্রেনের একটি টিকিটও পাওয়া যায়। দীপা যাদবের ব্যাগে ছিল ১ কেজি রুপো এবং সোনা ২৫০ গ্রাম সোনার গয়না। চুরি করা কিছু টাকা দীপা যাদব এটি এমের মাধ্যমে কোন একটি অ্যাকাউন্টে পাঠায়। সেটা নিজের অ্যাকাউন্ট হতেও পারে বলে জানিয়েছেন ডিসিপি। চুরি যাওয়া সব গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ ধৃত দুই দীপাকেই এদিন দুর্গাপুর আদালতে পেশ করেছে। তাদেরকে সাতদিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিলো। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ দুজনকে জেরা করে জানার চেষ্টা করবে আর কেউ এই চুরির সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা। পাশে এই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক কতদিনের ও এদের বাড়ির আসল ঠিকানা ঠিক কোথায় ।
ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা বলেন, সিটিসেন্তার ফাঁড়ি এবং দুর্গাপুর থানা ও সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ চুরির অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্তে নেমে সাফল্য পায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মাত্র চার ঘন্টার মধ্যে।
আরো জানা গেছে, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একে বিথির ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীব কুমারের বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। সঞ্জীব কুমার বাইরে থাকেন। তার স্ত্রী , বাবা এবং মা এই বাড়িতে থাকেন । দীপা যাদব দুর্গাপুরে আসেন । সঞ্জীব কুমারের স্ত্রী নাগমনি দেবী বাজারে যান। পরে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তার আলমারি খোলা এবং চুরি গিয়েছে সবই । জানা গেছে, দীপা শর্মা এই বাড়িতে পালিত কন্যা হিসাবে রয়েছেন মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে। সে সেখানে পরিচারিকার কাজ করতো। আর তার ঠিক ১১ বছর পরে, ২২ বছরে এসে তারই চক্রান্তেই চুরির ঘটনা ঘটলো ।
কখনোই পরিচারিকা হিসাবে নয় , কুমার পরিবারের বাড়ির সদস্য হিসাবেই দেখা হতো দীপা শর্মাকে বলেই জানা গেছে। তাই বাড়ির লোকেরা ভাবতে পারছেন না যে, দীপা শর্মা এমন কাজ করতে পারে।বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ একটি বাড়িতে চুরির অভিযোগ দায়ের করা হয় বিকেল পাঁচটার সময়। তারপর পুলিশ তদন্তে নামে। আর মাত্র চার ঘন্টার মধ্যে বমাল সমেত গ্রেফতার দুই। তার মধ্যে একজন বাড়ির পরিচারিকা। উদ্ধার করা হয়েছে বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সব সামগ্রী। এই চুরির ঘটনার কিনারা করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানা ও সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ বড়সড় সাফল্য পেলো ।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি ( পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন তুলে ধরেন পুলিশের এই সাফল্য।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের এ কে বিথি এলাকায় এক গৃহস্থের বাড়িতে চুরি হয় অলঙ্কার ও নগদ টাকা এবং মোবাইল ফোন। সেই চুরির অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশের টিম নেমে পড়ে তদন্তে । আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানার বড় সাফল্য কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার। বৃহস্পতিবার ঐ বাড়ি থেকে চুরি যায় নগদ ২ লক্ষ টাকা, ২৫ ভরি সোনা ও ১ কেজি রুপোর গয়না।
এদিন দুর্গাপুর থানায় ডিসিপি ( পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, তদন্তকারী পুলিশ প্রথমেই বাড়ির তিন জন কাজের লোককে আটক করে তদন্ত শুরু করে । তার থেকেই উঠে আসে দীপা শর্মা নামে এক পরিচারিকার সাথে দিল্লীর বাসিন্দা দীপা যাদবের যোগাযোগের কথা। তারা এই চুরির কাজ করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। পুলিশ দীপা শর্মাকে জেরা করে দীপা যাদবের মোবাইল ফোনের লোকেশন পায় করে। সেই সময় দীপা যাদব দুর্গাপুর ষ্টেশনে ছিল । সে কালকা মেলের ট্রেনের টিকিট কেটে দিল্লী যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছিল। পুলিশ দ্রুত দুর্গাপুর ষ্টেশনে পৌঁছায় ও দীপা যাদবকে গ্রেফতার করে।
তার কাছ থেকে ট্রেনের একটি টিকিটও পাওয়া যায়। দীপা যাদবের ব্যাগে ছিল ১ কেজি রুপো এবং সোনা ২৫০ গ্রাম সোনার গয়না। চুরি করা কিছু টাকা দীপা যাদব এটি এমের মাধ্যমে কোন একটি অ্যাকাউন্টে পাঠায়। সেটা নিজের অ্যাকাউন্ট হতেও পারে বলে জানিয়েছেন ডিসিপি। চুরি যাওয়া সব গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ ধৃত দুই দীপাকেই এদিন দুর্গাপুর আদালতে পেশ করেছে। তাদেরকে সাতদিনের হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিলো। বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ দুজনকে জেরা করে জানার চেষ্টা করবে আর কেউ এই চুরির সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা। পাশে এই দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক কতদিনের ও এদের বাড়ির আসল ঠিকানা ঠিক কোথায় ।
ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা বলেন, সিটিসেন্তার ফাঁড়ি এবং দুর্গাপুর থানা ও সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ চুরির অভিযোগ পেয়ে দ্রুত তদন্তে নেমে সাফল্য পায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় মাত্র চার ঘন্টার মধ্যে।
আরো জানা গেছে, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একে বিথির ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীব কুমারের বাড়িতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। সঞ্জীব কুমার বাইরে থাকেন। তার স্ত্রী , বাবা এবং মা এই বাড়িতে থাকেন । দীপা যাদব দুর্গাপুরে আসেন । সঞ্জীব কুমারের স্ত্রী নাগমনি দেবী বাজারে যান। পরে বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তার আলমারি খোলা এবং চুরি গিয়েছে সবই । জানা গেছে, দীপা শর্মা এই বাড়িতে পালিত কন্যা হিসাবে রয়েছেন মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে। সে সেখানে পরিচারিকার কাজ করতো। আর তার ঠিক ১১ বছর পরে, ২২ বছরে এসে তারই চক্রান্তেই চুরির ঘটনা ঘটলো । কখনোই পরিচারিকা হিসাবে নয় , কুমার পরিবারের বাড়ির সদস্য হিসাবেই দেখা হতো দীপা শর্মাকে বলেই জানা গেছে। তাই বাড়ির লোকেরা ভাবতে পারছেন না যে, দীপা শর্মা এমন কাজ করতে পারে।