পান্ডবেশ্বরে পুলিশের উপর হামলার ঘটনা, ধৃত দম্পতি সহ ১৭ জন
বেঙ্গল মিরর, পান্ডবেশ্বর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পরকিয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় পান্ডবেশ্বর থানার কুমারডিহি গ্রামের বাউরি পাড়ার পল্লব বাউরির। তার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় রুইদাস পাড়ার সঞ্জয় রুইদাসের বাড়ির একটি ঘরের ভেতর থেকে। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনা। অভিযোগ, সঞ্জয় রুইদাসের বাড়ি থেকেই পরিবারের সদস্যদেরকে না জানিয়ে পল্লবের মৃতদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। এই খবর জানাজানি হতেই গ্রামে আচমকাই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । বিশাল পুলিশ বাহিনী গ্রামে আসে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রামবাসীরা ইটবৃষ্টি করতে থাকে। তাতে মাথা ফেটে যায় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তার । সাথে আরো তিনজন পুলিশ কর্মী আহত হয়। এরপরে পুলিশ জনতা ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পরে শুরু হয় ধরপাকড়।




এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ মোট ১৫ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে পান্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। একই সাথে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রুইদাস ও তার স্ত্রী ঝুমা রুইদাসকে । অভিযোগ, ঝুমা রুইদাস নামে এই মহিলার সাথে পরকিয়া বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল পাশের বাউরি পাড়ার বাসিন্দা যুবক পল্লবের। বুধবার রাতে স্বামি সঞ্জয় রুইদাস তাকে বাড়ির মধ্যে ধরে ফেলে। তাকে আটক রাখে একটি ঘরে । সেখানেই পল্লবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। শুক্রবার পান্ডবেশ্বর থানার পুলিশ দম্পতি সহ মোট ১৭ জনকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও, শুক্রবারের থমথমে পরিবেশ রয়েছে পান্ডবেশ্বরের গ্রামে। এলাকায় রয়েছে পুলিশ পিকেট। চলছে টহলও।