আসানসোলের যুবকের দামোদর নদীতে ডুবে মৃত্যু , অল্পের জন্যে রক্ষা আরো তিনজনের
ঈদের পরের দিন কুলটিতে মর্মান্তিক ঘটনা
বেঙ্গল মিরর, কুলটি ও আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ* ঈদের পরের দিন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে কুলটির ডিসেরগড়ে মর্মান্তিক ঘটনা। বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে দামোদর নদীতে ডুবে মৃত্যু হলো এক যুবকের। অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে যায় আরো তিন যুবক। এলাকার বাসিন্দারা তাদেরকে নদী থেকে তুলে ফেলেন। আসানসোল উত্তর থানার আসানসোল পুরনিগমের ২৫ নং ওয়ার্ডের রেলপারের ওকে রোডের বাসিন্দা মৃত যুবকের মহঃ সমীর (১৭)। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।




পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে আসানসোলের রেলপারের ওকে রোডের বাসিন্দা মহঃ সমীর ও তার ৭ জন বন্ধুকে নিয়ে কুলটির ডিসেরগড়ে শের শাহ বাবার মাজারে এসেছিলেন। মাজার থেকে দুপুর একটার সময় মহঃ সমীর ও তার তিন বন্ধু ডিসেরগড়ে দামোদর নদীতে স্নান করতে নামে। বাকি চারজন পাড়ে ছিলো। স্নান করার সময় সমীর সহ চারজন নদীর গভীর জলে তলিয়ে যায়। যেখান থেকে বেরিয়ে আসা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। এলাকার বাসিন্দারা চিৎকার শুনে দৌড়ে আসেন। তারা তিনজনকে নদীর জল থেকে উপরে টেনে তোলেন। যে কারণে তারা প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু সমীর ডুবে যান। খবর পেয়ে কুলটি থানার শাঁকতোড়িয়া ফাড়ি পুলিশ এলাকায় আসে।
স্থানীয়দের সহায়তায় সমীরকে প্রায় এক ঘন্টা পরে নদী থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। যেখানে এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, দামোদর নদীর যে জায়গায় এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই জায়গা ” ডেঞ্জার জোন ” বলে বোর্ড লেখা আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আসানসোলের যুবকদের সেখানে যেতে মানা করেছিলেন। তাদের মানা উপেক্ষা করে তারা সেই জায়গায় স্নান করতে যায় ও পরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
এই প্রসঙ্গে শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ রিয়াজউদ্দিন বলেন, মৃত যুবক মহঃ সমীর ৮ বন্ধুর সাথে ডিসেরগড়ে দামোদর নদীতে স্নান করতে এসেছিলেন। স্নান করার সময় সমীর গভীর জলে তলিয়ে যায়। এর ফলে তার মৃত্যু হয়। তিনজন ডুবে গেলেও এলাকার বাসিন্দাদের তৎপরতায় তারা বেঁচে যায়।
এদিকে, ঈদের পরের দিনে এমন ঘটনায় আসানসোলের রেলপারের ওকে রোডে শোকের ছায়া নেমে আসে।