সরকারী যোজনার বাড়ি মিলবে টাকা পেলে, তৃণমূল নেতাকে টাকা দিয়েও দুই বছর পরেও বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ
ষড়যন্ত্র করছে পাল্টা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, দল পাশে নেই সাফাই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, দুর্গাপুর : সরকারী বাড়ি পেতে দিতে হবে তৃণমূল নেতাকে টাকা, ধার দেনা করে সেই টাকা দিয়েও আজও মিললো না সরকারী আবাসের বাড়ি।অগত্যা টাকা ফেরত পেতে এবার ঐ তৃণমূল নেতার নামে মেল করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ এক ব্যাক্তির।দুর্গাপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভিড়িঙ্গিতে।দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অবসরপ্রাপ্ত ঠিকা কর্মী খোকন প্রামানিক, বাবার মৃত্যুর পর বেশ সেই বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বেশ দিন গুজরান করছিলেন তিনি। সময়টা ছিল ২০২২। খবর পেলেন আবাসের বাড়ি মিলছে আবেদন করলেই। সাথে সাথে যোগাযোগ করলেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কনভেনার সুধীর বাউরির সাথে, বললেন একটা পাকা পোক্ত বাড়ি দরকার তার, কারণ যে বাড়িতে আছেন সেটা বসবাসের উপযুক্ত নয়। প্রস্তাব আবাসের বাড়ি পেতে হলে দিতে হবে ৩৫ হাজার টাকা, আর নিজের দায়িত্বে ঠিকদার নিয়ে বাড়ি বানিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল নেতা সুধীর বাউরি। খোকন বাবু ধার দেনা করে তিন দফায় ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেন তৃণমূল নেতা সুধীর বাউরির হাতে এমনটাই অভিযোগ ।




এবার তৃণমূল নেতার পরামর্শ ছিল সরকারী বাড়ি পেতে হলে ভাঙাচোরা ঐ বাড়ি পুরো মাটিতে মিশিয়ে দিন ভেঙে, শাসক দলের নেতা বলে কথা সেই প্রস্তাবেও খোকন বাবু মাথা গোঁজার শেষ ভরসাটুকু ভেঙে দিয়ে অন্যের বাড়িতে ভাড়াতে চলে যান স্ত্রীকে নিয়ে , কারণ কটা মাস কাটিয়ে দিতে পারলেই তো মিলবে সরকারী আবাসের বাড়ি,এই কটা মাস কষ্টে সিস্টে কাটিয়ে দিলেই তো হলো। এই করতে করতে সেই ২০২২ সাল থেকে কেটে যায় ২০২৫, কিন্তু আবাসের বাড়ি আর মিললো না খোকন প্রামানিকের কপালে, আর তৃণমূল নেতাকে দেওয়া টাকাটাও গেলো জলে, আজ দেবো কাল দেবো করে নাকি ঐ তৃণমূল নেতাও আর টাকা ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। শেষে বুকে বল নিয়ে দুর্গাপুর নগর নিগমে খোঁজ খবর করতে যান খোকন প্রামানিক,গিয়ে দেখেন আবাসের তালিকাতে তার নাম নেই, এমনকি ফর্মও জমা পড়েনি দুর্গাপুর নগর নিগমে।
তাহলে যে ফর্ম, নথির প্রতিলিপি যা কিনা সরকারী বাড়ি পেতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুধীর বাউরি হাতে তুলে দিয়েছিলেন সেই সব গেলো কোথায়? উত্তর মেলেনি আজও। অগত্যা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশকে মেল মারফত তৃণমূল নেতা সুধীর বাউরির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন খোকন প্রামানিক। দল এই অন্যায় বরদাস্ত করবে না,অভিযোগকারীকে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের। এইদিকে সরকারী প্রকল্প পেতে গেলে এইভাবে শাসক দলের এক নেতার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগকে একযোগে সমালোচনা করলেন বিরোধীরা। এখন দেখার পুলিশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় লিখিত অভিযোগ মেলে পাওয়ার পর। আর আবাসের বাড়ি আর টাকা ফেরত না পেয়ে এখন সুবিচারের আশায় একটা একটা করে দিন কাটছে দুর্গাপুরের খোকন প্রামানিকের।