রামনবমী পুজোয় তলোয়ার হাতে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, সমালোচনায় শাসক নেতা
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ রাম নবমী উপলক্ষে রবিবার আসানসোল, বার্নপুর সহ শিল্পাঞ্চল জুড়ে পুজোর আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন আখড়া কমিটি শোভাযাত্রা বার করে। সেই শোভাযাত্রার আগে পাগড়ি বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এদিন বার্নপুরে চিত্রা রেল গেটের কাছে রামনবমী উপলক্ষে পাগড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল উপস্থিত ছিলেন। তাকে একটি পাগড়ি এবং একটি তলোয়ার উপহার দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই তলোয়ার হাতে নিয়ে স্লোগান দেন।




পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, সনাতন ধর্মে প্রতিটি হিন্দু দেবতার হাতেই কিছু না কিছু অস্ত্র থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সনাতন হিন্দু ধর্মের সাথে অস্ত্রের অনেক পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। তবে, যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করবেন কিনা, তখন তিনি বলেন, এটি পরের বিষয়। তবে যদি পুলিশ আসানসোল বা আশেপাশের কোনও এলাকায় সনাতন ধর্মের লোকদের বার করা মিছিল বন্ধ করার চেষ্টা হয় , তাহলে প্রতিটি বিজেপি কর্মীরা এর বিরোধিতা করবে। তার কথায়, সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনেরা তাজিয়া নিয়ে অস্ত্র হাতে মিছিলে বেরোয়। তখন, সরকার, পুলিশ প্রশাসন কোথায় থাকে? যতো আইন হিন্দুদের জন্য?
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে বাংলায়ও একই রকম কিছু ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়কে তোষণ করেন। যে কারণে আজ বাংলায় হিন্দুদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। কিন্তু বিজেপি তা করতে দেবে না। তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্বে হিন্দু বাঙালিদের জন্য পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র স্থান। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য জায়গা আছে। কিন্তু যদি পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুদের বিপদে ফেলা হয়, তাহলে বিজেপি তা সহ্য করবে না।
বিজেপি বিধায়কের কথা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বার্নপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র। তিনি বলেন, বিজেপি নেতা ও নেত্রীদের এখন এটাই কাজ। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ও মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি। তিনি আরো বলেন, রাজ্য সরকার যা মানা করবে, তার বিরোধিতা করাটাই এখন বিজেপির রাজনীতির মুল উদ্দেশ্য। বাংলার মানুষেরা ঠিক সময়ে এর জবাব দেবেন।