আসানসোলে জাতীয় সড়কের পাশে উল্টালো এলপিজি ট্যাঙ্কার, গ্যাস বেরিয়ে এলাকায় আতঙ্ক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ একটি ছোট চারচাকা গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে আসানসোল উত্তর থানার গাড়ুই এলাকায় ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাশে একটি এলপিজি গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। সোমবারের এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্যাঙ্কারে প্রচুর পরিমাণে পেট্রোলিয়াম জাতীয় গ্যাস থাকায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। তবে খবর পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ, দমকল ও জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের আধিকারিক ও কর্মীরা এলাকায় আসেন। তারা তৎপরতার সঙ্গে সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। কোন হতাহতেরও ঘটনা ঘটেনি।




প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, এদিন সকালে একটি গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কার দ্রুত গতিতে দুর্গাপুরের দিক থেকে ১৮ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে ধানবাদের দিকে যাচ্ছিল। একই লাইনে একটি ছোট চারচাকা গাড়িও ধানবাদের দিকে যাচ্ছিলো। আসানসোল উত্তর থানার গাড়ুইয়ের কাছে গ্যাস ট্যাঙ্কারের সঙ্গে ঐ ছোট চারচাকা গাড়ির পাশাপাশি সংঘর্ষ হয়। তাতে ছোট চারচাকা গাড়িটি রাস্তার ডিভাইডারে উঠে উল্টে যায়। অন্যদিকে, ভারসাম্য হারিয়ে গ্যাস ট্যাঙ্কারটি জাতীয় সড়কের পাশে জঙ্গলের মধ্যে উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ট্যাঙ্কার থেকে গ্যাস লিক করে বেরোতে শুরু করে। গ্যাস লিক হওয়ায় আগুন লাগার এবং বিস্ফোরণের আশঙ্কা দেখা দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে আসানসোল উত্তর থানায় খবর দেন। পুলিশ আসে। খবর পেয়ে দমকলকর্মী ও জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের কর্মীরাও এলাকায় আসেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্যাঙ্কার থেকে গ্যাস বেরোচ্ছিল। সময়মতো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বড় দূর্ঘটনা ঘটে ক্ষতি হতে পারত।
আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনীর তরফে ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকাটিকে ঘিরে ফেলা হয়। সাধারণ মানুষদেরকে সেখান থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। জাতীয় সড়কের একদিকের লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। দমকল কর্মীরা গ্যাস লিক বন্ধ করার জন্য দ্রুত কাজ শুরু করে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে দুর্গাপুর থেকে গ্যাস কোম্পানির কর্মীরা এলাকায় আসেন। তারা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্যাঙ্কারটি কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতি এবং চালকের অসতর্কতার কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, সময়মতো প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কোনও প্রাণহানি বা বড় ক্ষতি এড়ানো গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রশংসা করেছেন।
তবে, এই ঘটনা জাতীয় সড়কে ভারী গাড়ি চলাচলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা আটকাতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।