ASANSOL

আসানসোলে রামনবমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ  রাম নবমী উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসানসোল শহরের জিটি রোডে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বার করা হয়েছিল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকে শহরের একাধিক রামনবমী পুজোর উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন আখড়া কমিটির সদস্যরা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বার করা হয়। যা এনএস রোড হয়ে জিটি রোড পৌঁছায়। এই শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া আখড়া কমিটির সদস্যরা শারীরিক কসরত বা স্টান্ট প্রদর্শন করেন। শোভাযাত্রায় আসা মানুষদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তৃণমূল কংগ্রেস , আসানসোল বাজার কমিটি, সনাতন ব্রাহ্মণ সমাজ এবং জয় শ্রী রাম যুব সংঘের মতো সংগঠনগুলি বিভিন্ন স্থানে ক্যাম্প করেছিলে। এই ক্যাম্পগুলিতে জল, প্রসাদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হয়।  যাতে মানুষের কোন অসুবিধা না হয়। ক্যাম্পে আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় , দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, বোরো চেয়ারম্যান রাজেশ তিওয়ারি, কাউন্সিলার শিখা ঘটক, আসানসোল মহাবীর স্থান সেবা সমিতির সেক্রেটারি অরুণ শর্মা, বিজয় শর্মা, মুকেশ শর্মা, পিন্টু গুপ্তা এবং মনোজ শর্মা উপস্থিত ছিলেন।


এই অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে আসানসোলের শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আসানসোলের পাশাপাশি সমগ্র বাংলায় উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে ও হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলা দুটি খুব বড় সাফল্য অর্জন করেছে। তার মধ্যে একটি হলো, বাংলার দুর্গাপূজাকে রাষ্ট্রসংঘ হেরিটেজ বলে ঐতিহ্যের মর্যাদা দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী মর্যাদা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেই দিন খুব বেশি দূরে নয় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাম নবমী উৎসব এত সৌন্দর্যের সাথে আয়োজিত হবে, আগামী সময়ে এই উৎসব এবং উৎসবের সাথে যুক্ত শোভাযাত্রাও ঐতিহ্যের মর্যাদা পাবে।


এদিকে, মলয় ঘটক বলেন, আসানসোলকে মিনি ইন্ডিয়া বলা হয়। এদিনের রামনবমীর শোভাযাত্রা উপলক্ষে এখানে যে দৃশ্য দেখা গেছে তা এই কথা আরো একবার প্রমাণ করে। সকল ধর্মের মানুষ এখানে উপস্থিত এবং এই বিশাল শোভাযাত্রা উপভোগ করছেন। তিনি বলেন, বাংলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমি এবং এখানকার মানুষ বারবার তা প্রমাণ করে।
এই শোভাযাত্রা আয়োজনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপরও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। প্রশাসন এবং পুলিশ একযোগে শোভাযাত্রার পথে কড়া নজরদারি রাখে। যানবাহন চলাচল সুষ্ঠুভাবে রাখতে প্রয়োজনীয়  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশ আধিকারিকরা বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিলো। যার ফলে এই আয়োজন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *