দেন্দুয়া মোড় ও রূপনারায়ানপুর মোড়কে যানজট মুক্ত করা নিয়ে ১৬ই এপ্রিল বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :– দেন্দুয়া মোড়কে যানজট মুক্ত করতে এবার উদ্যোগী তৃণমূল কংগ্রেস।কি করে আসানসোল চিত্তরঞ্জন রাস্তার উপর দেন্দুয়া মোড় ও রূপনারায়ানপুর মোড়কে যানজট মুক্ত করা যায় সেই নিয়ে শনিবার হিন্দুস্তান কেবলসের শ্রমিক মঞ্চে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আরমান, সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং ও সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র।




এদিন মহম্মদ আরমান বলেন আসানসোল যাতায়াতের ক্ষেত্রে দেদুয়া মোড়ে প্রায় এক থেকে দু ঘন্টা আটকে পড়তে হচ্ছে পড়ুয়া, অফিসযাত্রী অ্যাম্বুলেন্স সহ সমস্ত ধরনের যানবাহনকে।এত পরিমাণে যানজট যে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।এই পরিস্থিতি নিয়ে বিধায়ক জেলাশাসক মহকুমা শাসক কে জানানো হয়েছে। ১৬ই এপ্রিল সালানপুর বিডিও অফিসে সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এক বৈঠক করা হবে।
আর বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হবে ইসিএলের বন জেমারী সাইডিং যাতে অতি দ্রুত ডালমিয়ায় সরে যায়,সেই কাজ অবিলম্বে শেষ করতে হবে।এছাড়া স্থানীয় শিল্প তালুকে মালপত্র বহনকারী যেসব ট্রাক,ট্রেলার,ডাম্পার দেন্দুয়া মোড় হয়ে যাতায়াত করছে সেগুলোকে পুলিশ যাতে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কল্যানেশ্বরী বাইপাস হয়ে জাতীয় সড়ক ওঠে তার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে করা হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে। দিনের বেলায় দেন্দুয়া মোড় হয়ে কোন বড় ট্রাক যাতে যাতায়াত না করতে পারে সেই জন্য নো এন্ট্রি কঠিনভাবে অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া কোলিয়ারির ডাম্পার অবশ্যই রাত দশটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত চলাচল করে সেজন্য দিনের বেলায় তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই বিষয়গুলি অনুসরণ করলে দেনদুয়া মোড় যান জোট মুক্ত হবে বলে জানান মহম্মদ আরমান।
তাছাড়া তিনি আরো বলেন চৌরাঙ্গী থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারনের বিষয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার কাজ হতে সময় লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে কারণ ইতি মধ্যেই কাজের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট দিল্লিতে গেছে সেখানে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে অর্থ মঞ্জুর করার পর টেন্ডার হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।তাছাড়াও এদিন তিনি বলেন ভুয়ো ভোটার নিয়ে বুথ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার কার্ডের সার্ভে করবে।এবং দল ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি পঞ্চায়েতে পয়লা বৈশাখ উদযাপন করা হবে এবং এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণকে সম্মান জানানো হবে।