আসানসোল গ্রামের ৩৩০ বছরের গাজন উৎসব আজও অমলিন
সাড়ম্বর ও প্রথা মেনে পুজোর আয়োজন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল গ্রামের গাজন উৎসব এবার ৩৩০ বছরের। এতো বছর পরেও আসানসোল গ্রামের গাজন উৎসবের ঐতিহ্য ও আড়ম্বরে কোন ভাঁটা পড়েনি। এতো আধুনিকতার সুযোগেও পুরনো প্রথা ও রীতি মেনে হয় গাজন উৎসবের পুজো ও আয়োজন। এই গাজন উৎসবের পরিচালনায় থাকে আসানসোল গ্রামের শ্রী শ্রী নীলকন্ঠেশ্বর জিউ দেবোত্তর ট্রাস্ট ও গাজন উৎসব উদযাপন কমিটি। খাতায় কলমে ট্রাস্ট ও কমিটি এর আয়োজনে থাকলেও, আসানসোল গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সব পুরুষ ও মহিলাদের যোগদান স্বতঃস্ফূর্তভাবে থাকে।




সাতদিনের এই গাজন উৎসবের সূচনা হয়েছিলো গত বুধবার ৯ এপ্রিল সন্ধ্যান। সেদিন নকড়ি রায় ও রামকৃষ্ণ রায়ের মূর্তিতে মাল্যদান ও শিবমন্দিরে এক অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয় বলে জানান ট্রাস্ট ও কমিটির সভাপতি শচীন রায়। পরে বৃহস্পতিবার শিবমন্দিরে গাজন সন্ন্যাসীদের ব্রতারম্ভ হয়। শুক্রবার হয়েছে গাজন সন্ন্যাসীদের শোভাযাত্রা সহকারে শ্রী শ্রী বানেশ্বরের নিদ্রাভঙ্গ অনুষ্ঠান ও নগর পরিক্রমা। পরে হয়েছে স্নান ও শিবদোলা। তিনি আরো বলেন, রবিবার নীলষষ্ঠীর দিন সকালে নীলকন্ঠেশ্বরের পুজো ও হোমযঞ্জ হয়েছে। দুপুরে হয়েছে ঠাকুরের জুড়িভোগ। বিকেল পাঁচটায় রামসায়ের পুকুর থেকে শিবমন্দির পর্যন্ত হয় গাজন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসীনিদের দণ্ডী ও শিবদোলা। এদিন রাত একে একে হয় একপদে নৃত্য, সন্ন্যাসীদের বাণবিদ্ধ অবস্থায় ধুনোবান, শ্রী শ্রী নীলকন্ঠেশ্বরের শৃঙ্গারবেশ ধারণ ও পুজো এবং সবশেষে পবিত্র কলস আনা।
ট্রাস্ট ও কমিটির সম্পাদক অসিতবরণ রায় ও সমর রায় বলেন, বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার গাজন সন্ন্যাসীদের নিম হলুদ সেবন ও নিয়মভঙ্গ হবে। সন্ধ্যায় হবে ধর্মযঞ্জ ও জাতি, ধর্ম এবং বর্ণ নির্বিশেষে পংক্তি ভোজনের মধ্যে দিয়ে সাতদিনের গাজন উৎসব শেষ হবে। তারা আরো বলেন, সাতদিনই গাজন উৎসব উপলক্ষে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে শিবমন্দিরে। যার মধ্যে থাকে নৃত্যানুষ্ঠান, বাউল ও যাত্রাপালা। এবারের কলকাতার দুটি নামী অপেরার পাশাপাশি আসানসোল গ্রামের ছাত্র সংঘের ” বাদশার ফাঁদে রায়বাঘিনী কাঁদে ” ও ও সুভাষ সমিতি পরিচালিত ” মেয়ে তো নয় যেন আগুনের ফুলকি ” যাত্রা পরিবেশিত হয়েছে।
I read with keen interest the news of celebrating traditional gajan in Asansol village. It reminds me of similar gajan I witnessed in my childhood days in Neamatpur village near Kulti some seventy years ago. Late Balaram Chakravorty, Kanailal Chakravorty, Manik Chakravorty, Ratan Chakravorty were the doyens of the village. I remember seeing gajan in Dharmaraj tala near Kalidasi Bidyabithi Primary School. Manoj master was our teacher. Dandi kata, Banphora and other related words like these bring back memories of good old days. Durga mandir, Kali mandir and Siva mandir were our favourite places to visit often, apart from Polton danga in Sitarampur and Belrui village during Ratha festival. It is good to see that age old tradition still continues in Asansol and its adjacent areas with undiminished fervour and enthuism, inspite of the radical social changes in data driven digitage age. Thanks very much indeed for absorbing and engaging story.
Barakar theke asansol eto bumper keno. Samasta prasasan ke bolchi jader hirid rog aache, jader komar batha aache aar prasuti maider ki aabastha habe. Sab chia bhalo barakar to asansol rasta bandha kore dik. Sabai hete jak. Nijer barir lok jedin bipade porbe sedin bujte parbe.