ASANSOL

পশ্চিম বর্ধমানে ” বাংলার ভোট রক্ষা ” অভিযান শুরু তৃণমূলের, ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে অ্যাপ ‘ দিদির দূত ‘

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ভুয়ো বা ভুতুড়ে ভোটারদের চিহ্নিত করতে বা ধরতে ‘ বাংলার ভোট রক্ষা অভিযান’ শুরু করলো। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলের জিটি রোডের রাহা লেন মোড় সংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে ” বাংলার ভোট রক্ষা ” অভিযান এবং ‘ দিদির দূত ’ অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সেক্রেটারি তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিএলএ-১ ভি শিবদাসন ওরফে দাসু, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগত ও ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায়।

সাংবাদিক সম্মেলনে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভুয়ো বা ভুতুড়ে ভোটারদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে। দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে যার ফলে তারা জয়লাভ করেছে। ২০২৬ এর বিধানসভা সামনে রেখে বাংলায় বিজেপি একই জিনিস করতে চাইছে। শাসক দলের জেলা সভাপতি সতর্ক করে বলেন, বাংলায় এই ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভোট রক্ষা অভিযান’ শুরু করেছেন। যার উদ্দেশ্য হলো প্রকৃত ভোটারদের চিহ্নিত করা এবং নকল ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না দেওয়া।

বুধবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলো। তিনি বলেন , এই অভিযানের আওতায় তৃণমূল কর্মীরা টাউন, ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরে কাজ করবেন। দলটি জেলা ও বিধানসভা স্তরে বিএলও-১ এবং বুথ স্তরে বিএলও-২ নিয়োগ করেছে। এছাড়াও দুটি নতুন স্তর যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলি হলো একটি ব্লক ও টাউন স্তরে, অপরটি পঞ্চায়েত ও ওয়ার্ড স্তরে। এই কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রকৃত ভোটারদের চিহ্নিত করবেন এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ও তা বাদ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

তিনি আরো বলেন, জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ তৃণমূল কর্মীকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। দলের এইসব কর্মীদের আধুনিক সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে এবং ‘দিদির দূত’ অ্যাপ তাদের সহায়তা করবে। এই অ্যাপ ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে এবং ভোটার তালিকা যাচাইয়ে সহায়ক হবে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে শাসক দলের জেলা সভাপতি অভিযোগ করেন, বিজেপি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিজেপি বাংলায় সাম্প্রদায়িক আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বিজেপি ভুলে যায় না যে, এই আগুনে তাদেরও হাত পুড়বে। বিজেপির নেতারা উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বলে দাবি জেলা সভাপতির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *