আচমকা মাইথন বা পাঞ্চেত এলাকায় জলাধারে বেশি মাত্রায় দামোদর দিয়ে জল ঢুকতে পারে তেনুঘাট থেকে
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। আচমকা মাইথন বা পাঞ্চেত এলাকায় জলাধারে বেশি মাত্রায় দামোদর দিয়ে জল ঢুকতে পারে তেনুঘাট থেকে। তেনুঘাট বাঁধ ডিভিশনের পক্ষ থেকে এমন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তেনুঘাট কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছেন তাদের রেডিয়াল গেট এবং সুইচগেটের মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ গত শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে। তেনু ঘটের বাঁধের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ার মঙ্গল দেব সিং জানান ওই গেট গুলি সংস্কার বা মেরামতের পর গেট গুলি পরীক্ষার জন্য খুলতে হবে। এর মধ্যে সুইস গেট এবং রিপ্লে গেট আছে। কোথাও থেকে কাজের পরে জল লীক করছে কিনা তা দেখার জন্য গেট গুলি ওঠানামা করতে হবে। সেখান থেকে জল ছাড়া হবে ।সেই জলে যাতে মাইথন বা পাঞ্চেত কিংবা দামোদরের আশপাশে যারা আছেন তাদের প্রত্যেককে সতর্ক করে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। মাইকেও ঘোষণা করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও ডিভিসি কর্তৃপক্ষকেও চিঠিও পাঠানো হয়েছে।




যদিও তিনি বলছেন খুব বেশি জল ছাড়া হবেনা। এই সময়টাকে ওই কাজের জন্য শুক্রবার সকাল থেকেই আমরা বেছে নিয়েছি কেননা এর পর এই বর্ষা নামবে ।তবে যেহেতু তেনুঘাটের জল পাঞ্চেত এবং মাইথনে আসে স্বাভাবিকভাবেই সতর্ক করা হয়েছে। এইসব অঞ্চলের নদীর দুপাশে থাকা মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন নির্মাণকার্য যারা করছেন, নদীর উপর দিয়ে যেখানে রেলের পুল আছে বা বিভিন্ন সংস্থার ইনটেক ওয়েল কিংবা কারখানা আছে তাদেরও আমরা বিষয়টা জানিয়েছি এবং সতর্ক থাকতে বলেছি। কোন সংস্থার ইনটেক ওয়েল জলে ডুবে গেলে তাদের জল তুলতে অসুবিধা হবে।
অন্যদিকে মাইথন এবং পাঞ্চেতের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন তাদের বাঁধে যদি কিছুটা জল চলে আসে তাহলেও তাদের কোন অসুবিধা নেই বা ভয়ের কিছু নেই।
একই সঙ্গে তেনুঘাটের ইঞ্জিনিয়ার জানান পশ্চিমবঙ্গ ,ডিভিসি এবং ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধিদের নিয়ে যে হোয়াটসএপ গ্রুপ আছে সেখানেও বড় ধরনের জল ছাড়ার চার ঘন্টা আগেই আমরা জানিয়ে থাকি। এ ক্ষেত্রে গেটগুলো মেরামতি, এবং রক্ষণাবেক্ষণ ও সেগুলি পরীক্ষার জন্য বিষয়টা সকলেই জেনেছেন।