আসানসোলে বিপিএল কলোনির আবাসনে আগুন, কাউন্সিলর ও দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আসানসোল পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের রেলপারের বেলডাঙ্গা এলাকার বিপিএল কোয়ার্টারের তৃতীয় তলার আবাসনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আচমকাই এই আগুন লাগে। এই আবাসনে বাস করেন আসানসোল পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী রাজু হরি। আগুনে আবাসনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যার মধ্যে রয়েছে নগদ টাকা, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নথি। খবর দেওয়ার প্রায় দেড় ঘন্টা পরে আসানসোল দমকল বাহিনীর কর্মীরা ইঞ্জিন নিয়ে এলাকায় আসেন। যা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশা প্রসাদও এলাকায় দেরি করে আসেন বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ কোনমতে পরিস্থিতি সামাল দেয়।




জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে রাজু হরি নামে আসানসোল পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী বিপিএল কলোনির তিন তলার আবাসনে তালা লাগিয়ে কাজে বেরিয়ে যান। ঘরের তালা বন্ধ থাকা অবস্থায় দুপুর দেড়টা নাগাদ আশেপাশের লোকজন ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে খবর দেন। পাশাপাশি নিজেরাই আগুন নেভাতে শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ছোট ছোট বাচ্চারা আগুন নেভাতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু দমকল কর্মীরা আসতে অনেক সময় নেন। যার ফলে ঘরের জিনিসপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশা প্রসাদ এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন তাকে ঘিরে ধরে ব্যাপক প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, আশা প্রসাদ এলাকায় কোনও কাজ করেন না। তিনি এখানকার মানুষকে কোনও পরিষেবা দেন না। আজও যখন আগুন লেগেছিল, তখন তিনি অনেক দেরিতে পৌঁছান। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে আশা প্রসাদ এবং তার স্বামীকে পুলিশ নজরদারিতে এলাকা ছেড়ে যেতে হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দমকল কর্মীরা জল দিয়ে আগুন নেভান।
পুর কর্মী রাজু হরি বলেন, আবাসনের তালা বন্ধ করে সকালে হটন রোডে কাজ করতে চলে যাই। দুপুরে এলাকার বাসিন্দারা ফোন করে আগুন লাগার কথা বলায় দৌড়ে আসি। দেখি আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বুঝতে পারছি না, কি করে আগুন লাগলো।
দমকল বাহিনীর কর্মীরাও বলতে পারেননি যে তিমতলার আবাসনে কি করে আগুন লাগলো।