জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের মোমবাতি মিছিল
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিষ্ঠুর জঙ্গি হামলায় স্তম্ভিত ও শোকস্তব্ধ গোটা দেশ ও বিশ্ব। এই হামলার প্রতিবাদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বার্নপুর শহরে মৌন মিছিল করে আসানসোল দক্ষিণ ( শহর ) তৃনমুল যুব কংগ্রেস। বার্নপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল স্বামী বিবেকানন্দ স্ট্যাচু হয়ে বারি ময়দানে এসে শেষ হয়। এই মিছিলে আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ লক্ষণ ঠাকুর, আসানসোল দক্ষিণ ( শহর) তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভীক গোস্বামী সহ আসানসোল পুরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, ওয়ার্ড সভাপতি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




আসানসোলের বাজার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) কার্যালয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। টিএমসি রাজ্য সম্পাদক ভি. শিবদাসন দাসুর নেতৃত্বে প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি, অরুণ শর্মা, কাউন্সিলর ববিতা দাস, যুব নেতা বিশ্বরূপ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা শোক প্রকাশ করেন। সোহরাব আলি হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেন, পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য ছিল সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো, কিন্তু ভারতীয় জনতা তাদের ষড়যন্ত্র বুঝে গেছে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় বৈঠকে টিএমসি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায়

জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত পহেলগাঁও । ভূস্বর্গের টানে গিয়ে প্রাণ গেছে নিরীহ পর্যটকদের । এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ কাশ্মীরের আমজনতা শুরু করেছেন। গর্জে উঠেছে কাশ্মীর । সারা দেশ প্রতিবাদে মুখর এই জঙ্গী হামলায় । এই জঙ্গী হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরে তৃণমুল যুব কংগ্রেসের তরফে একটি মোমবাতি মিছিল করা হয়। কাইজার মোড় থেকে শুরু হয়ে বেনাচিতির পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত যায় এই মোমবাতি মিছিল। শোকপ্রকাশ করা হয় জঙ্গীদের হাতে নিহত হওয়া পর্যটকদের উদ্দেশ্যে ।

এই মিছিলে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল যুব সভাপতি পার্থ দেওয়াসি , ব্লক সভাপতি ভিমসেন মন্ডল ও তৃণমুল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার সহ অন্যান্য তৃণমুল নেতৃত্ব।জেলা যুব সভাপতি পার্থ দেওয়াসি বলেন, জঙ্গী হামলায় নিহত পর্যটকদের প্রতি শোক জ্ঞাপন করে মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে। তিনি এই মিছিল থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করে বলেন, এই দুঃখের দিনে রাজনীতির প্রসঙ্গ টানা উচিত নয়। কিন্তু বিরোধী দলনেতা এই সময়েও হিন্দু মুসমানের ভোটের তাস খেলে বিভাজনের রাজনীতি করছেন। জেলা যুব তৃণমুল সভাপতি বলেন, এই জঙ্গী হামলার দায় নিতে হবে দেশের প্রধানমন্ত্রীকেই । তিনি বারবার ভোট প্রচারের সময় বলেছিলেন ৩৭০ ধারা বিলোপ করার ফলে সন্ত্রাসবাদীরা শেষ হয়ে গেছে । কিন্তু কোথায়? একের পর এক জঙ্গী হামলা প্রমাণ করে দিয়েছে চৌকিদার কার্যত ব্যর্থ। তাই দেশের চৌকিদারকে চৌকিদারিত্ব ছেড়ে দিতে হবে, এই দাবী তুলছি আমরা।