আসানসোলে তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে পর্যালোচনা বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ২০২৬ এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। সেই সময়টা আসতে এখনও প্রায় এক বছর বাকি। কিন্তু, সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
সেই প্রস্তুতিতে শুক্রবার আসানসোলের জিটি রোডের রাহা লেন মোড় সংলগ্ন তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে একটি বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃনমুল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, আসানসোল মেয়র বিধান উপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু, ডেপুটি মেয়র তথা আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় , উৎপল সিনহা, মহিলা সংগঠনের জেলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী, অসিত সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বুথ পর্যায়ে দলকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
এ বিষয়ে জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু বলেন, এদিন দলীয় কার্যালয়ে আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেখা গেছে যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে বিজেপি নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। বাংলায়ও এই ধরণের প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু বাংলায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভোট রক্ষা অভিযান শুরু করা হয়েছে। আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে যাতে ভুয়ো ভোটারদের প্রভাব না পড়ে, সেজন্য প্রতিটি তৃণমূল কর্মী বুথ পর্যায়ে গিয়ে ভুয়ো ভোটার খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন।
তারা আরো বলেন, বৈঠকে ভোট রক্ষা অভিযানের কাজ পর্যালোচনা করা হয়। বুথ পর্যায়ে তৃণমূল কর্মীদের একটি দল তৈরি করা হচ্ছে যারা ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার তালিকা পর্যালোচনা করবে। পাশাপাশি ভুয়ো ভোটারদের শনাক্ত করবে। তারা বলেন, এই বুথ পর্যায়ের তৃণমূল কর্মীদের উপর ব্লক পর্যায়ে একজন তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন। এইভাবে, জেলা পর্যায় পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীদের একটি দল তৈরি করা হবে। যারা ভুয়ো ভোটারদের শনাক্ত করার জন্য কাজ করবে। রাজ্য সম্পাদক বলেন, এই কাজের জন্য একটি সংগঠন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূলের এমন একটি সংগঠন আছে যার মাধ্যমে তারা এই কাজটি করতে পারে। তবে, জানতে চাওয়া হয় যে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় কতজন ভুয়ো ভোটার শনাক্ত করা হয়েছে? এই প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি কোন পরিসংখ্যান দেননি। তিনি বলেন, জেলার ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা রাজ্য স্তরে দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে। পরে সেখান থেকে জেলাভিত্তিক ভুয়ো ভোটারের পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে।
