RANIGANJ-JAMURIA

হেলথ ক্যাম্পে পরীক্ষা করিয়ে চক্ষু চড়কগাছ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : এবার ফের রানীগঞ্জের প্রত্যন্ত তিরাট গ্রামের, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষ জনেদের, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গিয়ে অবাক হলেন, রানিগঞ্জের সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানগুলি অন্যতম বাদু শিবানন্দ সেবাশ্রম, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শিবানন্দজী মহারাজ। দেখা গেল বৃহস্পতিবার, শিব জ্ঞানে জীব সেবা করার লক্ষ্যে, তিনি আশ্রম চত্বরে আসানসোলের প্রসিদ্ধ লাইফ লাইন মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে এনে, চিকিৎসা করালে, সেখানে জেনারেল মেডিসিনের চিকিৎসক, ডাক্তার সুস্মিতা ভট্টাচার্য প্রায় তিনজন রোগীর হৃদরোগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে সে বিষয়টি লক্ষ্য করে, তাদের ইসিজি করে, আগামীতে চিকিৎসার জন্য উদ্যোগ নেন।

সেখানেই সাধারণ রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডাক্তার অনুশ্রী চ্যাটার্জী অনেকেরই শারীরিক পরীক্ষা করে জানতে পারেন, অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করা হয়নি, যার ফলে বেশ কিছু জনের গলব্লাডার স্টোন থাকার বিষয়টি ও অনেকের মলদ্বারে পাইলস থাকার বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন, এরকম প্রায় 12 জন রোগীকে তিনি সনাক্ত করে, অস্ত্রপচারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেন।

আর এলাকার ছোট শিশুদের চিকিৎসা করতে আসা, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ডাক্তার কোয়েল মুকুটি ২৫ জন শিশুর বৃদ্ধি জনিত সমস্যা ও রক্তাল্পতা থাকার বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তবে তার সাথেই তারা তাদের সুস্থ হওয়ার জন্য, ব্যবস্থাও নেন। তবে এদিন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, সৌম্যদীপ চক্রবর্তীর রিপোর্ট দেখে আতঙ্কিত হন, সকলের সাথেই শিবানন্দজীও। রিপোর্টে দেখা যায় প্রায় ৮০ জন রোগী এদিন চক্ষু পরীক্ষা করাতে এলে, তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ জনের চোখে ছানি লক্ষ্য করা গেছে।

জানা গেছে, বেশিরভাগ রোগী দীর্ঘদিন ধরেই, কোন চক্ষু পরীক্ষা না করানোই, তাদের এই সমস্যা হয়েছে, আর চোখের প্রতি অবহেলা ও এলাকার দূষণ সমস্যা এই চোখের ছানির মাত্রা অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে, বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসক। তিনি জানান আগামীতে যে সকল রোগীর চোখে ছানি ধরা পড়েছে, তাদের অস্ত্রোপচারের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এদিনের এই স্বাস্থ্য শিবিরের উদ্বোধন করেন আসানসোল কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, তিনি শ্রমিক দিবসের দিনে এই বিশেষ কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণকে সাধুবাদ জানান। এই কর্মকাণ্ডের মুখ্য উদ্যোক্তা, শিবানন্দজী মহারাজ জানিয়েছেন সকলকেই সুস্থ রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপনের পরই ধর্ম কর্মের ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে, সে বিষয়টি নজর রেখে এ ধরনের উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছেন। তার দাবি প্রতিমাসের শেষ রবিবার এই বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন তারা করবেন, সঙ্গে বেশ কিছু ওষুধ দেওয়ার জন্য উদ্যোগ তারা নেবেন, বলেই জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *