সাংসদ তহবিলের অর্থে তৈরি রাস্তার উদ্বোধন, এলাকায় দেখা না মেলা নিয়ে মন্ত্রী ও বিজেপি বিধায়কের তর্জা

বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ এলাকায় দেখা পাওয়া যায় না দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়কের। ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনই মন্তব্য দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের । পূর্ব বিধানসভার মানুষও আমার কাছে স্বাক্ষর করাতে আসেন পাল্টা কটাক্ষ করে জবাব পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের ।

দুর্গাপুর নগর নিগমের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুরুড়িয়া ডাঙা এলাকায় সাংসদ তহবিলের টাকায় তৈরি হয়েছে ঢালাই রাস্তা। প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়। রবিবার সেই রাস্তার উদ্বোধন করেন তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ ও রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।

এই উপলক্ষে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, এলাকার মানুষের কাছে আমি শুনছিলাম এই এলাকার বিধায়ক যেহেতু অন্য দলের সেই জন্য তার কাছ থেকে উন্নয়নমূলক কাজের কোন সহায়তা পায় না। এই ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ বিধায়ক তহবিল থেকে হওয়া দরকার। কিন্তু তা হয়নি। লোকসভা নির্বাচনে দুর্গাপুর পশ্চিমে পিছিয়ে ছিলেন কীর্তি আজাদ। কিন্তু সেটা কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। এলাকার দুঃস্থ মানুষরা সমস্যায় আছে সেই কথা শুনে সাংসদ কীর্তি আজাদ এগিয়ে এসেছেন। তার সাংসদ তহবিলের টাকায় পাকা রাস্তা উপহার দিয়েছেন। কাঁচা রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছেন এলাকার মানুষদেরকে।

রাজ্যের মন্ত্রীকে পাল্টা বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই কটাক্ষ করে বলেন, দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা থেকে আমার কাছে প্রতিদিন ১০০ মানুষ সই করাতে আসেন। কে পাশে থাকে, আর কে থাকেনা এলাকার মানুষেরা তা ভালো করেই জানেন। বিধায়ক তহবিলে চার বছরে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। সেখানে ৬০ লক্ষ টাকা পেতেই আমাকে হিমসিম খেতে হয়েছে। সিপিএমের মতো রাজনীতি চায় ওরা। সেই জন্য আমাদের কাজ করতে দেওয়া হয় না।

সাংসদের প্রতি তার প্রশ্ন , আপনি তো ডিভিসিতে উচ্ছেদ করতে দেব না ও এমএএমসি খুলে দেব অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কি হলো? এক বছর তো পেরিয়ে গেছে। কি কাজ করেছেন? কাজ করতে পারবেন না, এটা পশ্চিমবঙ্গ।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২ নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা রমাপ্রসাদ হালদার।