আসানসোল শহরের ব্যস্ততম রাস্তার ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পথে মেয়র, সঙ্গী চেয়ারম্যান, একদিনের সময়সীমা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ এর আগে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। মাইক দিয়ে প্রচারও চালানো হয়। কিন্তু সেই উদ্যোগ কার্যক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হয়নি। এবার তা হবে। মঙ্গলবার সকালে আসানসোল শহরের অন্যতম ব্যস্ত ও জনবহুল রাস্তা জিটি রোড সংযোগকারী হটন রোড পরিদর্শন করে পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের দাবি, এবার হবেই। কোনভাবে পিছিয়ে যাওয়া হবে না। যারা রাস্তার দুদিকের ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে দোকান করেছেন, তাদের সরে যেতে হবে। এদিন ঘুরে বলে গেলাম সব দোকানদারদের। বুধবার পর্যন্ত তাদেরকে সময় দিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই রাস্তার জলনিকাশী ব্যবস্থার জন্য নালি তৈরির কাজ শুরু হবে।




দোকানদারেরা তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী কাঠামো বুধবার রাতের মধ্যে সরিয়ে নেবেন। তা না হলে, সব ভেঙে দেওয়া হবে। এই হটন রোডেই নালি ও রাস্তার একাংশ দখল করে পাকাপোক্ত করে তৈরি করা হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের ওয়ার্ড অফিস। রয়েছে একাধিকবার দোকান। যেসব দোকান শুধু যে ইঁট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, এমনটা নয়। লাগানো হয়েছে শাটারও। এইসব কিছুর কি হবে? সবকিছু ঘুরে দেখে মেয়রের সাফ জবাব, সব কিছু সরিয়ে দিয়ে রাস্তার দুপাশ ফাঁকা করে দিতে হবে। আমার দলের অফিস থাকলেও, তা সরিয়ে দিতে হবে। বড় করে ড্রেন তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। টেন্ডার করা গেছে। ঠিকাদার কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, এই দুদিন আগে সামান্য বৃষ্টিতে জলে জমে যায়। কিছু দোকানের জন্য হাজার হাজার মানুষের সমস্যা হবে, তা তো মেনে নেওয়া যায় না। এদিন মেয়রের সঙ্গে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও বোরো চেয়ারম্যান রাজেশ তেওয়ারি।
প্রসঙ্গতঃ, আসানসোল শহরের হটন রোডে নিত্যদিন যানজট লেগেই থাকে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, হটন রোডের দু’ধারের নালি ও রাস্তার একটা অংশ বেআইনী ভাবে দখল করে দোকান করা হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যাওয়া টোটো ও অটোর জন্য রাস্তায় যানজট হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে অটোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করে দিলেও টোটোর জন্য কোন নির্দিষ্ট জায়গা করা হয় নি।
সোমবার আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন হটন রোডের জল নিকাশি অবস্থা খুবই খারাপ গেছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে জল জমে যায়। নিকাশি নালার উপর বেআইনী ভাবে দোকান করা হয়েছে। এমনকি রাস্তা দখল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় হটন রোডে এসে সব দোকানদারদের হাতজোড় করে দখল করে রাখা জায়গা থেকে সবকিছু সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেন।
এছাড়া অটোর পাশাপাশি টোটো চালকদের জন্য পার্কিংয়ের একটি জায়গাও নির্দিষ্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়।
এদিকে, মেয়রের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাস্তার দু’ধারে দখল করা দোকানদাররা জানিয়েছেন, ড্রেন তৈরির কাজ দ্রুত শুরু হবে। তাই তারা দোকান সরিয়ে নেবেন।