আসানসোলে অটো চালকদের বিক্ষোভ, পুর সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব আইএনটিটিইউসি নেতা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ জিটি রোড থেকে এসবি গরাই রোড সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হটন রোডকে যানজট মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে । মঙ্গলবার আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের দল হটন রোড এলাকা পরিদর্শন করেন। তারা রাস্তার ধারে অবৈধভাবে দোকান তৈরি করে ব্যবসা করা দোকানদারদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাদের দোকান সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এছাড়াও, টোটোর কারণে হটন রোডে যে যানজট তৈরি হচ্ছে তা থেকে মুক্তি দিতে, পুর কতৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আসানসোল পুরনিগমের ১৩ নম্বর পার্কিং জোনটি টোটোর জন্য খালি করে দেওয়া হবে। এই অটো স্ট্যান্ডটি পরিবর্তন করে টোটো স্ট্যান্ড করা হবে। আর এতেই তৈরি হয়েছে বিপত্তি।
সরাসরি পুরনিগমের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া। তিনি সরাসরি তোপ দেগেছেন আসানসোল পুরনিগমের বিরুদ্ধে । বুধবার সকালে তার নেতৃত্বে ১৩ নং পার্কিং জোনের অটো চালকেরা বিক্ষোভ দেখান।




অটো স্ট্যান্ডে টোটো তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, এখানে অটো স্ট্যান্ডটি আজকের নয়, প্রায় ৫০ বছরের পুরনো। এমন পরিস্থিতিতে, যদি হঠাৎ করে পুর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে তা মোটেও ঠিক নয়। তিনি বলেন, হটন রোডে পার্ক করা সমস্ত টোটো কি করে ১৩ নম্বর পার্কিংয়ে জায়গা দেওয়া যাবে ? এটি কখনই সম্ভব নয়। রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, আসানসোলের অটো চালকরাও আসানসোলকে যানজট মুক্ত করতে চান। কিন্তু এর একটা উপায় আছে। সবার সাথে দেখা করে, তাদের সাথে কথা বলে এবং পারস্পরিক পরামর্শ নিয়ে এই কাজটি করা দরকার। তিনি বলেন, ফুটপাতের পাশে দোকান করে জীবিকা নির্বাহকারী ছোট দোকানদারদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অটো চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই লোকেরা কোথায় যাবে? যখন টোটোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তখন আমি পুলিশ, আসানসোল পুরনিগম ও জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছিলাম।
গত তিন বছর ধরে আমি প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে এই বিষয়ে আবেদন করে আসছি। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি। আজ ফলাফল হল টোটোর সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে মানুষের হাঁটাচলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে দোকান করা ছোট দোকানদারদের সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বড় কিন্তু দোকানের সামনে বাড়িয়ে নেওয়া বড় দোকানদারদের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, পুর চেয়ারম্যানের আশেপাশে এমন কিছু লোক ঘোরাফেরা করছেন, যারা এই অবৈধ দোকান তৈরিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এরা যখন পুরনিগমের মেয়র ও চেয়ারম্যানের সাথে ঘোরাফেরা করেন, তখন সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেয়।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের কর্মসংস্থানে বিশ্বাস করেন। কিন্তু যদি এভাবে আসানসোল পুরনিগম কর্মসংস্থান কেড়ে নেয়, তাহলে এর বিরোধিতা করা হবে। বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে, পুরনিগমের গৃহীত সিদ্ধান্ত একেবারে স্বৈরাচারী ।
এই প্রসঙ্গে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিছু অটো মালিক আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। তারা বলেছেন যে তাদেরকে আসানসোল পুরনিগম একটি জায়গা দিয়েছে । এই বিষয়ে তিনি অটো মালিকদের আশ্বস্ত করেন যে যদি তাদের জায়গা দিয়ে থাকে, তাহলে সব ঠিক আছে। তবে ১৩ নম্বর পার্কিং জোনকে টোটো স্ট্যান্ড তৈরি করা হবে, এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে এদিন মেয়র জানিয়েছেন।
Why would there be such a movement to clear illegal occupied roads? Just as the municipality has done their awareness job about this operation to the city residents with folded hands, similarly, responsible leaders should be brought into confidence. Why isn’t this being done?