প্রতিবাদে গর্জে উঠল বাইশটি সামাজিক সংগঠন
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : আদিবাসী পরিবারের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে এবার সরব হয়ে, মঙ্গলবার দুপুরে, প্রবল গ্রীষ্মের দাবদাহকে উপেক্ষা করে, ক্ষোভে গর্জে উঠল, পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২২ টি সামাজিক সংগঠন। এদিন তারা জে কে নগর এলাকা থেকে হাজারো বিক্ষোভকারীদের নিয়ে, জাতীয় সড়ক ধরে, জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত সাতগ্রাম শ্রীপুর জিএম জিএম কার্যালয়ের গেটের সামনে হাজির হয়ে কার্যালয়ের গেট অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভে শামিল হয়। সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি যে রূপ ভাবে কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ, এলাকার সাধারণ আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষদের কোনরূপ কোন বিচার-বিবেচনা না করে জোরপূর্বক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।




আর তার সাথেই এই এলাকারই দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ ব্রিজ যা হাড়া ভাঙ্গা এলাকায় নুনিয়া নদীর ওপর অবস্থিত, সেই নুনিয়া ব্রিজ অবিলম্বে নতুন করে করে দেওয়ার দাবি ও চরণপুরের বাসিন্দাদের বেশ কিছু সমস্যা সমাধানের দাবিতে সরব হয় তারা। এদিনের এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বাউরী সমাজ শিক্ষা সমিতির সভাপতি সুমন্ত বাউরী, পশ্চিমবঙ্গ গোয়ালা সমাজের চেয়ারম্যান নয়ন গোপ,ভূঁইয়া সমাজ উত্থান সমিতির সভাপতি সিন্টু ভূঁইয়া পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী জনকল্যাণ সমিতি সহ অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিন তারা জোরদার বিক্ষোভ আন্দোলন করে, দাবি করেন রেশমি গ্রুপ অফ মাইনস কর্তৃপক্ষ, প্রজেক্ট এফেক্টেড পিপল অর্থাৎ কিনা প্রজেক্ট গড়ে ওঠার ফলে আক্রান্ত এলাকার আদিবাসী দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে যে সকল পরিবার, তাদের নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী তোলেন তারা।
একই সাথে নিমচা হাই ওয়াল প্রজেক্ট দ্বারা আক্রান্ত তিরাট, চেলোদ সহ বিস্তীর্ণ অংশ, কয়লা খনির বেপরোয়াভাবে খনি আইনকে উপেক্ষা করে, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানোয় ব্যাপক বিস্ফোরণের প্রভাবে, বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর সাথেই নিমচা হাইওয়াল প্রজেক্ট এর সাথেই আমকোলা প্রজেক্টে অতিরিক্ত কয়লা পরিবহনের জেরে ও ইসিএল এর অন্যান্য সামগ্রী পরিবহনের ফলে নুনিয়া নদীর ওপর অবস্থিত হাড়ভাঙ্গা ব্রিজটি বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সামাজিক সংগঠন গুলির অনেকেই, বিশেষ করে গোয়ালা সমাজ লাগাতার আন্দোলন করলেও সংলগ্ন অংশের বেহাল রাস্তা ও ভগ্নপ্রায় ব্রিজ গড়ে তোলার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি, উল্টে চলছে লাগামহীন যাতায়াত, আর এ সকলের সাথেই কয়লা খনিগুলির নিয়ম নীতি না মেনে কয়লা উত্তোলন করার ফলে, রানীগঞ্জ ব্লকের নারায়ণকুড়ি থেকে চেলোদ, কোয়ারডিহি পর্যন্ত, প্রায় এক লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকার সহ সম্পত্তি আজ বিপন্ন অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ওঠে এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। একইসঙ্গে চরণপুর এলাকার বাসিন্দাদের, অসহায় ভাবে দিনযাপনের বিষয়গুলিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার দাবি তোলেন এ দিনের নেত্রীস্থানীয়রা।