” যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা “, ‘অপারেশন সিঁদুর’ কে কটাক্ষ, কর্মীসভায় বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল জেলা সভাপতির, পাল্টা আক্রমন জিতেন্দ্র তেওয়ারির
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়:* এবার পশ্চিম বর্ধমানের তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ব্লক স্তরের দলের এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ” অপারেশন সিঁদুর ” নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের শাসক দলের এই নেতা। তার কটাক্ষ, “যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা , গোটাটাই নাটক”। আর কিছু নয়। অপারেশন সিঁদুর নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নিজের পুরনো কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ককে এই মন্তব্য করার জন্য পাল্টা জবাব দিয়ে আক্রমন করেছেন প্ৰাক্তন বিধায়ক তথা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি জিতেন্দ্র তেওয়ারি।




তার কটাক্ষ , তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলে ও সেই দল করতে হলে এসব করা যায়। উনি অর্ধশিক্ষিত ছাড়া আর কিছু নন। প্রসঙ্গতঃ, মে মাসের শেষ দিক থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ১৮ টি ব্লকে তৃনমুল কংগ্রেসের ব্লক স্তরের কর্মীসভা শুরু হয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে হওয়া এইসব কর্মীসভার মুল বক্তা হলেন দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
সেইরকম ভাবেই দিন দুয়েক আগে দুর্গাপুরের ব্লকের একটি কর্মীসভায় ছিলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সেই সভায় বক্তব্য রাখার সময় শাসক দলের জেলা সভাপতির কথায় উঠে আসে ” অপারেশন সিঁদুর” প্রসঙ্গটি । কর্মীসভায় থাকা দলের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর” গোটাটাই নাটক। গোটাটাই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা । ২৭ জনকে গুলি করে মানলো। এরা পাকিস্তানের ” ফিটিং” করে পুরোটাই সাজানো হয়েছে।
সভায় তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন এখনো পর্যন্ত পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িতদের ধরা গেল না? তিনি আরো বলেন, মনে রাখবেন সিঁদুর বাঙালির রক্তে আছে। সেই সিঁদুর মায়েদের মাথার সিঁথিতে থাকে। তাই এই সিঁদুর নিয়ে ‘ অপারেশন সিঁদুর ” র কথা বলে যারা রাজনীতি করছেন তাদেরকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিন। শুধু হিন্দু হিন্দু করে ভোটে জেতা। আর কিছু নয়। পরে শাসক দলের জেলা সভাপতির এই বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যখন দলমত নির্বিশেষে সবাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই কৃতিত্বকে কুর্নিশ করেছে, স্বাভাবিকভাবেই তখন শাসক দলের জেলা সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হয় ।
প্রত্যাশা মতোই, এই মন্তব্য করার জন্য শাসক দলের জেলা সভাপতিকে পাল্টা আক্রমন করতে দেরী করেনি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে জবাব দিতে গিয়ে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলে এইসব কথা বলা যায় । এইভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অপমান করে দেশ বিরোধী কথা বলার জন্য তার বিরুদ্ধে কোন এফআরআরও হবে না। কারণ, তিনি তো আবার অনুব্রত মণ্ডলকে ” গুরু” বলে দাবি করেন। আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র আরো বলেন, এরা কোথায় কি কথা বলতে হয় সেটাই জানেনা। এরা অর্ধ শিক্ষিত। কোনমতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। এদের কাছ থেকে এর বেশি আর কি আর আশা করবেন! এতো যদি পাকিস্তান প্রীতি, তাহলে পাকিস্তানে চলে যান। কে মানা করেছে।