আসানসোলে কেন্দ্রীয় কয়লা প্রতিমন্ত্রী তুলে ধরলেন মোদী সরকারের সাফল্যের তালিকা, ২০২৬ সালে বিজেপি সরকার গঠনের দাবি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ কেন্দ্রীয় কয়লা প্রতিমন্ত্রী সতীশ চন্দ্র দুবে বুধবার একদিনের সফরে আসানসোলে পৌঁছেছেন। আসানসোলের বিজেপি নেতা ও কর্মীরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এদিন তিনি কলকাতার পাশাপাশি আসানসোলে অনেক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এদিন রানিগঞ্জের রিলায়েন্স ক্লাবে ‘উন্নত ভারত’ শীর্ষক একটি সেমিনারে অংশ নেন।
পরে আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া বিজেপি জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ১১ বছরের সাফল্যের তালিকা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এও দাবি করেন যে ২০২৬ সালে বাংলায় পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি সরকার গঠিত হবে।




সাংবাদিক সম্মেলনে সতীশ চন্দ্র দুবে বলেন, মোদী সরকার মূলধন ব্যয়, রেলপথ, মেট্রো, বিমান পরিষেবা থেকে শুরু করে ডিজিটাল ও সড়ক পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই একটি নতুন ভারত তৈরি করেছে। বন্দে ভারত ট্রেনের মাধ্যমে শহরগুলিকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। মেট্রো নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে বিমান ভ্রমণ সহজলভ্য হয়েছে। ডিজিটাল টোলিং ফাস্ট ট্যাগের মাধ্যমে জীবনকে সহজ করে তুলেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত শক্তিশালী এবং স্বনির্ভর হয়ে উঠছে।
বাংলায় বিজেপির নেতা ও কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে কয়লা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এখানে বিধানসভা নির্বাচন হবে। দিল্লিতে যেভাবে বিজেপি সরকার গঠন করেছে, ঠিক সেভাবেই বাংলায় সরকার গঠন করবে বিজেপি। বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিম তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতা সাংসদ রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, যারা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাদের দেশের সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। ‘অপারেশন সিঁদুর’ র প্রশংসা করে শ্রী দুবে বলেন, ভারত পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। বিশ্ব ভারতের শক্তি স্বীকার করেছে। তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীর সম্পর্কে বলেন, মোদী হ্যায় তো সব মুমকিন হ্যায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাংলায় আসানসোল রানিগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে কয়লা চোরাচালান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের সরকারকে আক্রমণ করেন। কয়লা চোরাচালান নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করে দুবে বলেন, কেন্দ্র কয়লা চুরির বিষয়ে সচেতন। কিন্তু খনি থেকে বেরিয়ে আসার পর, এর নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। দুর্ভাগ্যবশত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চোরাচালানের সাথে জড়িত। তার দলের নেতারা রয়েছে এর সঙ্গে। যে কারণে এটি বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি কয়লা খনি থেকে হওয়া দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতির কথাও বলেন।
পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, বিজেপির রাজ্য নেতা নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় , আসানসোল ও কুলটির দুই বিধায়ক অগ্নিমিত্র পাল ও ডাঃ অজয় পোদ্দার, আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য ও আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।