আসানসোলে দিশম আদিবাসী গাঁওতার ডাকে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি
দুর্গাপুরের আবাসিক হোস্টেলের সমস্যার সমাধান ও ও দাবি পূরণ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* দিশম আদিবাসী গাঁওতার ডাকে দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক হোস্টেলের পড়ুয়া ও অভিভাবকরা বিভিন্ন দাবিতে সোমবার সকালে আসানসোলে বিক্ষোভ মিছিল করেন। আসানসোলের জিটি রোডের বিএনআর মোড় থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিল আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) কার্যালয়ে বিবিডব্লিউ অফিস পর্যন্ত যায় ও সেখানে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।




এই বিষয়ে দিশম আদিবাসী গাঁওতার রাজ্য সভাপতি শৈলমান মান্ডি বলেন, এদিন আদিবাসী সমাজের অভিভাবকরা দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের পন্ডিত রঘুনাথ মূর্মু আবাসিক হোস্টেলের কিছু দাবির সমর্থনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে হোস্টেলে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ১৮০০ টাকা বৃত্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু তারা সেই টাকা পাচ্ছেন না। পড়ুয়াদের উপস্থিতি অনুসারে প্রতিদিন ১০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। কেউ তিন দিন উপস্থিত থাকলে তাকে ৩০০ টাকা এবং কেউ ছয় দিন উপস্থিত থাকলে তাকে ৬০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দুর্গাপুরের পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু হোস্টেলে দীর্ঘদিন ধরে কোনও স্থায়ী নিয়োগ হয়নি।
কাজ অস্থায়ী লোকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সেখানে সাতজন কর্মচারী রয়েছেন। এই সাতজন অস্থায়ী কর্মচারীকে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে তাও পড়ুয়াদের বৃত্তি থেকে দেওয়া হচ্ছে। তিনি হোস্টেলে স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগের দাবি জানান। এই স্মারকলিপির মাধ্যমে অফিসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আরেকটি সমস্যার দিকে। পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কোনও কাগজপত্র ছাড়াই প্রায় ১০০ জন পড়ুয়াকে ভর্তি করেছেন। এর ফলে ২০০ জন পড়ুয়ার জন্য বৃত্তি আসছে। কিন্তু সেখানে আসলে ৩০০ জন পড়ুয়া আছে। ১০০ জন পড়ুয়া হোস্টেল মনিটরিং সিস্টেমে নথিভুক্ত না হওয়ায় বৃত্তি পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, এই সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পরিদর্শন করা হয়েছিল। সেই সময় আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এই সমস্যাগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করা হবে। কিন্তু ৬ মাস পেরিয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত কোনও অর্থবহ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই এদিন আবার জমা দেওয়া স্মারকলিপির মাধ্যমে পড়ুয়াদের সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।