RANIGANJ-JAMURIA

শুভদর্শিনী হাসপাতালের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : এবার গোয়ালা সমাজের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের উপযুক্ত দাবি আদায়ের জন্যে সরব হল সমাজের সদস্যরা। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রানীগঞ্জ মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের রানীগঞ্জ স্কয়ারের মধ্যে অবস্থিত শুভদর্শিনী হাসপাতালের এক নিরাপত্তা রক্ষীদের অস্থায়ী ঘরে, এক নিরাপত্তা রক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে লক্ষ্য করে শুক্রবার চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রানীগঞ্জের এগারা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁকর ডাঙ্গার বাসিন্দা বছর ৪৩ এর কুড়ান গোপ, অন্যান্য দিনের মতোই বৃহস্পতিবার নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্বে কাজ করার জন্য সেখানে গেছিলেন, ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করা ওই ব্যক্তি রাত্রে নৈশ পাহারায় ছিলেন, শুক্রবার সকালে অন্যান্য নিরাপত্তা রক্ষী যারা রয়েছে তারা যখন সেই অংশে পৌঁছন, তখন সেখানে তার ঝুলন্ত দেহ লক্ষ্য করা যায়।

পরে এই বিষয়টি সম্পর্কে সংলগ্ন এলাকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে, তারা রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশকে এই মৃত্যুর ঘটনার খবর দিলে, পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনাটি আত্মহত্যা না অন্য কিছু, তা নিয়ে সন্ধিহান সকলে। পরিবারের সদস্যরা এ প্রসঙ্গে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। শনিবার মৃতের পরিবার-পরিজন ও গোয়ালা সমাজের সদস্যরা মৃতদেহটিকে হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও মৃতের পোষ্যকে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি এই হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ওই নিরাপত্তা রক্ষীর মৃত্যু ঘটেছে তার মৃত্যুর রহস্য যা আছে তা তদন্তের পর উঠে আসলেও, এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব রয়েছে, কারণ তারা নিরাপত্তার জন্য ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে হাসপাতালে মোতায়েন করেছিলেন, সে কারণে তাদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ নিতে বাধ্য। এ প্রসঙ্গে তারা রানিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগও জানাই যেখানে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনাটি একটি হত্যার ঘটনা বলে দাবি করা হয় সেখানে তারা এই ঘটনাটিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা সংস্থাকেও পরোক্ষভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে।

যদিও শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচির মাঝে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ওই নিরাপত্তারক্ষীর পরিবারের এক সদস্যকে ঠিকাসংস্থার মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, তবে ক্ষতিপূরণের কোন টাকা তারা দিতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দেন। শনিবার এই টানা পড়েন এর জেরে হাসপাতালের গেটে মৃতদেহ ফেলে রেখে চলে দুপুর থেকেই বিক্ষোভ। পরে বিকেল ছটা নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর কাছে কোন সদুত্তর না পেয়ে শুধুমাত্র চাকরির আশ্বাস পেয়ে তারা তাদের বিক্ষোভ তুলে নেয়। এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন গোয়ালা সমাজের রাজ্য চেয়ারম্যান নয়ন গোপ, মহিলা নেত্রী পিঙ্কি গোপ, ভোলানাথ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *