আসানসোলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পুড়ে মৃত্যু কয়লা ব্যবসায়ী, শাশুড়ি এবং শ্বশুরের, অগ্নিদগ্ধ স্ত্রী ভর্তি হাসপাতালে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। একটি বাড়িতে ঘটা এই অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে এক কয়লা ব্যবসায়ী ও তার শ্বশুর ও শাশুড়ির। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন কয়লা ব্যবসায়ীর স্ত্রী। তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল পুরনিগমের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের জিটি রোডের ফতেপুরের স্বাগতম রেসিডেন্সির বি-২ নম্বর বাড়িতে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত কয়লা ব্যবসায়ীর নাম বাবলু সিং। মৃত তার শ্বশুর ও শাশুড়ির নাম হলো বীরেন্দ্র নাথ চন্দ্র এবং শাশুড়ি গায়ত্রী চন্দ্র। অগ্নিদগ্ধ জখম বাবলু সিংয়ের স্ত্রীর নাম শিল্পী চট্টোপাধ্যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।




ঐ এলাকার বাসিন্দাদের মতে, শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা চিৎকার শোনা যায়। তখন তারা বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তারা দেখতে পান বাবলু সিংয়ের বাড়িতে আগুনে জ্বলছে । সঙ্গে সঙ্গে দমকল এবং আসানসোল দক্ষিণ থানায় খবর দেওয়া হয়। দমকল বিভাগের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আসে পুলিশও। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।এরপর আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ বাড়ির ভেতরে ঢুকে দেখে যে, চারজন আগুনে পুড়ে গেছেন। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চারজনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে বাবলু সিং ও তার শ্বশুর এবং শাশুড়িকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাবলুর বাড়ির বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ঐ বাড়িতে আগুন লাগার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে। দমকল বাহিনী তদন্ত করছে কিভাবে ঐ বাড়িতেো আগুন লাগল।স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে বাবলু সিং এবং শিল্পী চট্টোপাধ্যায়ের এক ছেলে তীর্থঙ্কর চট্টোপাধ্যায় রয়েছে। সে নবম শ্রেণীর ছাত্র। এ ছাড়া, আরও জানা গেছে যে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার নিরসার নয়া ডাঙাল এলাকায় বাবলু সিংয়ের আরেকটি বাড়ি রয়েছে। যেখানে তার প্রথম স্ত্রী, বাবা-মা, দুই ছেলে এবং এক মেয়ে থাকেন। এও জানা গেছে, বাবলু সিং দ্বিতীয় স্ত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায় ও তার বাবা ও মাকে নিয়ে আসানসোলে থাকতেন। পুলিশ জানায়, মৃত বাবলু সিংয়ের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।