আসানসোলের ব্যস্ততম রাস্তার বেহাল দশা, দিনের বেলায় ডাম্পার চলাচল নিয়ে সরব কংগ্রেস নেতা, সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোলের জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড় থেকে ১৯ নং জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় সংযোগকারী সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণির অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে। বলতে গেলে প্রতিদিনই এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার ঐ এলাকার বাসিন্দা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডি সেনরেল রোডের রেল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সাথে একটি ঘটনা সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা করেন।অভিযোগ, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ঐ সিভিক ভলান্টিয়ার তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন।




প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডু বলেন, আমি আমার মেয়েকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে কিছু ব্যক্তিগত কাজে উপকার গার্ডেনে যাচ্ছিলাম। তখন আমি দেখ যে দুটি ছোট মেয়ে সেনরেল রোডের রেল ব্রিজের কাছে রাস্তায় পড়ে আছে। প্রসেনজিৎবাবু আরো বলেন আমি দেখি যে ঐ সিভিক ভলান্টিয়ার সেই মেয়েদের নিয়ে চিন্তিত নন। তিনি সেখান থেকে ডাম্পারগুলি সরানোর চেষ্টা করছেন। তখন আমি এই বিষয়ে সেখানে থাকা দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের সাথে কথা বলতে যাই। তখন তারা আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন ও আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
এরপর তিনি ঐ ডাম্পারের সামনে তার মোটরসাইকেলটি দাঁড় করিয়ে আসানসোল দক্ষিণ পিপি ট্রাফিক গার্ড ইনচার্জকে ফোন করেন। ততক্ষণে খবর পেয়ে সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও চলে আসেন । প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডি বলেন, এই প্রথমবার নয় যে এই রাস্তায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এরর ফলে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। শিশুরা দুর্ঘটনার শিকার হয়। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন এখানে ডাম্পারগুলিকে রাস্তা দেওয়ার জন্য তৎপর থাকে। কিন্তু তারা মানুষের, বিশেষ করে শিশুদের জীবনের কথা ভাবে না। তিনি অভিযোগ করেন যে, যখন ডাম্পারগুলিকে সেখান থেকে যেতে দেওয়া হচ্ছিলো না, তখনও সেখানে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়াররা ডাম্পারগুলিকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানা পিপি ট্রাফিক গার্ড ইনচার্জ এবং পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা প্রসেনজিৎবাবুর সঙ্গে কথা বলেন ও পরিস্থিতি সামাল দেন।