ASANSOL

আসানসোল থেকে ভিন রাজ্য কাজে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারে, খুনের অভিযোগ পরিবারের, বেপাত্তা সঙ্গী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ* পশ্চিম জেলার আসানসোল থেকে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে হায়াদ্রাবাদে কাজে গিয়ে রহস্যজনক মৃত্যু হলো এক পরিযায়ী শ্রমিকের। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। মৃত যুবকের নাম রোশন হেলা ওরফে ডাবা (৪৩)। তার বাড়ি আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের রামকৃষ্ণডাঙালের ভুঁইয়াপাড়ায়। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই ফেরার তার সঙ্গী রঞ্জিত পণ্ডিত। সে রামকৃষ্ণডাঙালের আখড়া ময়দান এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে । এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হায়দ্রাবাদ পুলিশ।জানা গেছে, গত ১৯ জুন কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে হায়দ্রাবাদে কাজে গেছিলেন রেলপারের রামকৃষ্ণডাঙালের বাসিন্দা রোশন হেলা । সেখানে সে একটি বেসরকারি কারখানায় কাজে যোগ দেয়। কাজে যোগ দেওয়ার পরে কারখানার কর্মীদের জন্য বরাদ্দ আবাসনে থাকতো রোশন এবং রঞ্জিত। ২ জুলাই বুধবার কারখানার ঐ আবাসন থেকে রোশনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ।

জানা গেছে, মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরে একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগ, ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে রঞ্জিত।রোশনের বৌদি তুলসী হেলা ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আমাদেরকে বুধবার ঘটনার খবর আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ দিয়ে গেছে বাড়ি এসে। তার পরেই আমার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা হায়দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, গত ২৪ জুন আধার কার্ডের নম্বর চেয়ে শেষ বার রোশন ফোন করেছিলেন আসানসোলের বাড়িতে। তার পরিবারের দাবি, কারও সঙ্গে রোশনের শত্রুতা ছিল না।

অন্যদিকে, রোশনের সঙ্গী ফেরার থাকা রঞ্জিতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, সে কোথায় যায়, কাউকে কিছু বলেন না। তাই তাদের কাছে তার কোন খবর নেই। তবে তাঁর দাদা বজরঙ্গি পন্ডিত বলেন, আমার ভাই ফোন করেছিলো। সে আমাকে জানিয়েছিলো, তাদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া রঞ্জিত আর কিছু বলেনি বলে তার দাদার দাবি।এদিকে, আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানায়, হায়দ্রাবাদ পুলিশ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলো। তারা আমাদেরকে ঐ যুবকের দেহ উদ্ধারের কথা জানায়। এছাড়াও বলে তার পরিবারের সদস্যদেরকে জানাতে। সেই মতো তা জানানো হয়েছে। তাদেরকে তাড়াতাড়ি যেতে বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *