পুরনিগমের বুলডোজার দেখে জরিমানা দিল কারখানা কর্তৃপক্ষ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে এসে অবশেষে বিফল মনোরথেই ফিরে যেতে হল আসানসোল কর্পোরেশনের বিশেষ দলকে। ৯৮ কোটি টাকার ফাইনের বদলে ২০ লক্ষ টাকাতেই আপাতত স্থগিত রাখা হল অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ। বৃহস্পতিবার জামুড়িয়ার ইকড়া শিল্প তালুকের গগন ফেরোটেক লিমিটেড নামক এক কারখানায় এমনই বিষয় লক্ষ্য করা গেল। উল্লেখ্য ২০২৩ সালে আসানসোল কর্পোরেশনের শিল্প তালুকে মোট ১৭ টি কারখানার সঙ্গে এই কারখানাতে অবৈধভাবে বেশ বিস্তীর্ণ অংশ নির্মাণের কারণে কারখানাটির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নির্মাণের অভিযোগ আনা হয় জানা যায় জামুড়িয়ার সাত নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এই কারখানাটিতে প্রায় ৩৭ হাজার স্কয়ার ফিট এলাকায় অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ হয়েছে বলেই দাবি করেন আসানসোল কর্পোরেশন, সেইমতো কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৯৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা হয়।




এই বিষয়কে জানতে পেরেই কারখানা কর্তৃপক্ষ আসানসোল করপোরেশনের মেয়র এর দ্বারস্থ হন , একইভাবে আদালতের কাছেও এই বিষয়কে বিবেচনা করার দাবি জানান। পরবর্তীতে এই প্রসঙ্গে কোন রূপ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় সেই অবৈধ নির্মাণের বিষয় প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন ধামা চাপা পড়ে থাকে। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি দোসরা জুলাই কারখানা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টিকে বিবেচনা করার জন্য কর্পোরেশনের কাছে আবেদন করলে, কর্পোরেশনের তরফে তাদের নাকি ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। যদিও তার আগেই এবার এই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার জন্য পুলিশ প্রশাসন, ও দমকল বিভাগের টিমের উপস্থিতিতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে যান কর্পোরেশনের বাস্তুকারের বিশেষ দল।
তবে তারা নির্মাণ ভাঙ্গার আগেই এ বিষয়ে কর্পোরেশনের কাছে দ্বারস্ত হয়ে তারা ১৫ দিনের সময় চেয়েছিলেন যা বিবেচনা করার আবেদন জানান তারা। শেষমেষ ৯৮ কোটি টাকার জরিমানার বদলে কুড়ি লক্ষ টাকা বর্তমানে জরিমানা ধার্য করে সাময়িক স্বস্তি দেওয়া হয় কারখানা কর্তৃপক্ষকে। জানা গেছে আসানসোল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ১৭ টি কারখানায় এভাবে অবৈধ নির্মাণ করা হয়েছে যাদের নোটিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে আগামীতে সেই সকল কারখানাগুলোতেও অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে। অভিযানে যাওয়া সদস্যরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে কুড়ি লক্ষ টাকা আরটিজিএস করে দেওয়া হয়েছে তাদের সাত দিন সময়সীমা দেওয়া হয়েছে পরবর্তীতে তারা কি পদক্ষেপ নেন সে বিষয়ে এখন দেখার।