আসানসোল পুরনিগমের সামনে রেলের জমিতে বেআইনি দোকান সরালো আরপিএফ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল পুরনিগমের সামনে রাস্তার ধারে রেলের জমিতে জবরদখল করে বসা দোকানগুলি শুক্রবার আসানসোল আরপিএফের তরফে সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন আরপিএফ জওয়ানরা এসে দোকানদারদের এই দোকানগুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এই বিষয়ে কিছু দোকানদারের সাথে কথা বলা হলে, তারা জানান রেল তাদের কোনও নোটিশ ছাড়াই সরে যেতে বলেছে। তারা বলেছে যে তারা এখন কোথায় যাবে? কারণ তাদের জীবিকা এই দোকানগুলির উপর নির্ভর করে। এখন যখন তাদের এই দোকানগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তখন তারা অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন।




এই বিষয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়ার বলেন, রেল এখন সবসময় জনবিরোধী কাজ করছে। পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার কারো নেই। রাজু আলুওয়ালিয়ালিয়া বলেন, আমি আজ আসানসোলের বাইরে আছি। তাই শনিবার আসানসোলে ফিরে আসার সাথে সাথেই সেখানে গিয়ে ঐ জায়গা থেকেই তীব্র আন্দোলন শুরু করবো, যেখানে এদিন আরপিএফের তরফে দোকানদারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজু আলুওয়ালিয়া আক্রমন করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিশেষ করে রেল সম্পূর্ণরূপে অকর্মণ্য ও দেশ জুড়ে লুটপাট চালাচ্ছে।
আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় অবশ্য আরপিএফের এই অভিযানে বেশ কিছুটা হলেও সহমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে দোকান করা দোকানদারদের বুঝতে হবে যে শহরের জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি তারা রাস্তার পাশে স্থায়ী দোকান করে বসে পড়েন , তাহলে পাশ দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই তাদেরও জনগণের সমস্যা বোঝা উচিত। মেয়র পারিষদের পরামর্শ, দোকানদারেরা তাদের পণ্য গাড়িতে করে বিক্রি করার,পরে গাড়িতে করে চলে যাওয়া উচিত। এতে কারো কোনও সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ভারতের অন্যান্য বড় শহরে, রাস্তার পাশে দোকান নিয়ে বসা দোকানদারেরা ব্যবসা করেন । আমরা চাই না যে এই দোকানদাররা কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হোন। কেননা তারা, এই দোকানগুলির মাধ্যমে আয় করছেন। তবে এই দোকানদারদেরও মানুষের সমস্যার কথা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, আসানসোল পুরনিগম এলাকায়ও দোকানদারেরা এভাবে বসেন। কিন্তু তাদের সরানো যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেরই তাদের শহর সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।