আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদ্রোহী কবির জিনিস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, দাবি পরিবারের একাংশের
বেঙ্গল মিরর, জামুড়িয়া ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও চরণ মুখার্জী: * বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মভিটে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়া চুরুলিয়ার নজরুল একাডেমির জাদুঘর থেকে কবির সমস্ত জিনিস কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হলো। গোটা বিষয়টি নিয়ে ও সবকিছু যাওয়ার বিরোধিতা করে ও কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়।













সেখানে কবির পরিবারের তরফে কাজি আলী রাজা বলেন, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্বেচ্ছাচারিতা করছে। নজরুল একাডেমির বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তীর সাথে আলোচনা করে ঠিক হয়েছিলো যে কাজি নজরুল ইসলাম সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ কাজি নজরুল একাডেমিতে রাখা হবে। কিন্তু নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এখান থেকে উপকরণগুলি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বলা হয়েছে যে পরের বার তারা এলে, পুলিশকে নিয়ে আসবেন। এর আগে যখন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এসেছিলেন, তিনি ১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীও ৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।
কাজি আলী রাজা এদিন প্রশ্ন তোলেন যে সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে? কারণ একাডেমির কোনও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে কাজি নজরুল ইসলামের স্মৃতি এই একাডেমির সাথে জড়িত। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু নিয়ে যেভাবে স্বেচ্ছাচারিতা করছে তা সহ্য করা যায় না। যদিও, কাজি আলি রাজার অভিযোগ মানতে চাননি কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তোলা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও মানতে চাননি।
এদিন তিনি বলেন, এখন আর নজরুল একাডেমি বলে কিছু নেই। এখন সেখানকার সবকিছু দায়িত্ব নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের। রাজ্য সরকার কবির জন্মভিটে নিয়ে পরিকল্পনা করেছে। পর্যটন দপ্তরকে দিয়ে পুরো সাজানো হচ্ছে। গোটাটারই রিনোভেশন বা সংস্কার করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন সংস্কারের জন্য কবির জিনিস বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। সব কাজ হয়ে গেলে সবকিছু আবার ওখানে চলে যাবে। রেজিস্ট্রার বলেন, কেউ বা কারা কবির পরিবারের নাম করে সবকিছু কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে।





