আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ক্ষোভ কর্মীদের, বাড়ছে না বেতন, মিলছে না অন্যান্য সুযোগ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের হয়ে পুর এলাকায় ভ্যাক্সিনেশন বা টিকাদানের সাথে যুক্ত কর্মীরা সোমবার পুরনিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গাঙ্গুলির সাথে দেখা করে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।



স্বাস্থ্য কর্মীরা বলেন, আমরা গত ২৬ বছর ধরে কাজ করছি। কিন্তু আমরা মাত্র ৬৫০০ টাকা বেতন পাই। যা খুবই কম। অভিযোগ যে, তাদের সাথে প্রায়শই দুর্ব্যবহার করা হয়। এমনকি তাদের বসার জায়গা নেই। এই স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, করোনাকালে আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে টিকাকরণ করিয়েছিলাম। এর পাশাপাশি, তারা ফাইলেরিয়া সহ আরও অনেক ধরণের টিকাকরণের কাজ করি। এর পাশাপাশি, প্রায়শই আমাদেরকে দিয়ে অনেক কাজ করানো হয়। কিন্তু আমরা সময়মতো এর জন্য টাকা পাই না। প্রায় দুই/তিন বছর আগে আমরা যে কাজটি করেছিলাম, তার জন্য এখনও কিছু টাকা বাকি আছে। কিন্তু আজও আমরা সেই কাজের জন্য টাকা পাননি। তারা স্পষ্টভাবে বলেন, যদি সরকারের কাছে তাদের বেতন দেওয়ার মতো টাকা না থাকে, তাহলে ৬০ বছর বয়স পার হওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের অবসর দেওয়া হোক। তাদের যা কিছু পাওয়ার অধিকার পাওয়ার আছে, তাদের দেওয়া হোক। তারা আরো বলেন, আমাদের কিছু কর্মীকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে একটা বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে ডাঃ দীপক গাঙ্গুলির সাথে বলেন, কিছু স্বাস্থ্যকর্মীকে কুলটিতে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এই বিষয়ে ডাক্তার মণ্ডলের সাথে কথা বলবো। যদিও স্বাস্থ্যকর্মীদের তথ্য কেন্দ্রীয় স্তরে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের তথ্য এখনও পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে রয়েছে। ডাঃ গাঙ্গুলি স্বীকার করেছেন যে ২০২৩ সালে, এই স্বাস্থ্যকর্মীরা পৌর কর্পোরেশনের কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা এর জন্য অর্থ পাইনি। তবে, ডাঃ গাঙ্গুলির কাছে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করছেন।, তখন তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন যে এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। অফিসের পক্ষ থেকে কিছুই বলা যাবে না। এই স্বাস্থ্যকর্মীদের আরেকটি অভিযোগ ছিল যে তাদের বসার কোনও জায়গা নেই। এ বিষয়ে ডাঃ গাঙ্গুলি বলেন যে আগে একটি জায়গা ছিল কিন্তু বর্তমানে কিছু নির্মাণ কাজের জন্য এটি পাওয়া যাচ্ছে না। একটি পরিকল্পনা ছিল যে তাদের জন্য বসার জায়গা তৈরি করা হবে। কিন্তু বর্তমানে এমন কোনও পরিকল্পনা নেই। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের দাবি ও অভিযোগ নিদিষ্ট জায়গায় জানানো হবে।