আসানসোলে ফসবেকির ” এ্যানুয়াল এক্সলেন্সি এওয়ার্ড “, ” বঙ্গ রত্ন ” সম্মানে ভূষিত বন্ধন গ্রুপের চেয়ারম্যান
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল ক্লাবের কনক্লেভ হলে শনিবার দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক সংস্থা বা বনিকসভা ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ” ফসবেকি বার্ষিক উৎকর্ষ পুরস্কার বা এ্যানুয়াল এক্সিলেন্সি এওয়ার্ড ২০২৫ ” আয়োজিত হয়। এই উপলক্ষে হওয়া এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান কবি দত্ত। এছাড়াও, ফসবেকির সভাপতি শচীন রায়, কার্যকরী সভাপতি মনোজ সরফ, পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী, সংস্থার সিনিয়র সদস্য এবং প্রাক্তন সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিনোদ গুপ্ত, গৌরী শংকর আগরওয়াল, সতপাল সিং কির, মনোজ সাহা, সঞ্জয় তিওয়ারি প্রমুখ ছিলেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। জাতীয় সঙ্গীতও পরিবেশিত হয়। ফসবেকির সদস্যরা সকল আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মাননা জানান।




অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে শচীন রায় বলেন, আমাদের সংগঠনের একমাত্র উদ্দেশ্য দক্ষিণবঙ্গ সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নকে উৎসাহিত করা। যাতে নতুন প্রজন্ম ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়ে। সেই কারণেই আমরা চাই যে ব্যবসা বা শিল্পের প্রসারের জন্য আরও এই ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হোক। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার চেম্বারের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান।তিনি বলেন, ফসবেকি দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তম সংগঠন। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার চেম্বার সদস্যরা এই সংগঠনের সদস্য। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ এই সংগঠন আজ এই অবস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সংগঠনের একমাত্র লক্ষ্য হল বাণিজ্য ও শিল্পায়নকে উৎসাহিত করা। যাতে যুব সমাজ চাকরিপ্রার্থী না হয়ে চাকরিদাতা হয়ে উঠতে পারে।অনুষ্ঠানে বন্ধন গ্রুপের চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর ঘোষকে এই বছরের ” বঙ্গ রত্ন” পুরস্কার দেওয়া হয়। একইভাবে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবী রথীন মজুমদারকে ” দক্ষিণবঙ্গ রত্ন ” পুরস্কার দেওয়া হয়। শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে অসামান্য পারদর্শিতার জন্য মহিলাদের মধ্যে শৈলিকা আগরওয়াল, অর্পিতা দরিপা, পূজা জৈনকে স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
একইসঙ্গে পুরুষদের মধ্যে সুরজিৎ গুইন, হর্ষ কুমার দোকানিয়া এবং অভিপ্রীত বক্সীকে সম্মানিত করা হয়, অন্যদিকে, জেলার ব্যবসায়ী হিসেবে রাজর্ষি কুণ্ডু, নীতেশ শর্মা, আকাশ সিংহানিয়া এবং হিতেশ প্যাটেলকে সম্মান জানানো হয়। দুর্গাপুরের সামাজিক সংগঠন “অঙ্কুরন ফাউন্ডেশন” কে এনজিও অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আড্ডার চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, বাংলায় ব্যবসা ও শিল্পায়নের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমাদের সমাজকে এবং বিশেষ করে তরুণদেরকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। তাদের সামনে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যাতে তারা এগিয়ে এসে ব্যবসা শুরু করে। তিনি বলেন, প্রশাসন বাণিজ্য ও শিল্পায়নের প্রচারের জন্যও অনেক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ফসবেকির মতো সংগঠনের সহায়তায় তা আরো শক্তিশালী হবে।এ বছরের “বঙ্গ রত্ন ” পাওয়া চন্দ্রশেখর ঘোষ ফসবেকির এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, যদি কেউ এইভাবে একটি পাবলিক প্ল্যাটফর্মে সম্মানিত হন, তাহলে তার এগিয়ে যাওয়ার একটা তাগিদ থাকে। বিশেষ করে এদিন যে যুবদের সম্মানিত করা হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও ভালো করার জন্য তাদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করবে। যা শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলে শিল্পায়ন এবং বাণিজ্যকে উৎসাহিত করবে।