আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল ও সভা
বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে বুধবার দুপুরে কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিল ও সভা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা বলার জন্য বাংলাভাষীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ করা। একইভাবে দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এদিন প্রায় একই সময়ে আসানসোলে একটি মিছিল করা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে। শহরের জিটি রোডের ট্র্যাফিক মোড় থেকে সিটি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত একটি মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে বাসস্ট্যান্ডে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়।




মিছিল ও সভায় রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও, জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বিধায়ক তথা জেলা চেয়ারম্যান হরেরাম সিং, রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক সহ অন্য বিধায়ক, জেলা নেতৃত্ব, কাউন্সিলর ও বিপুল সংখ্যায় কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের সকলের হাতে ব্যানার ছিল যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল যে যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে এই দেশের মানুষদের বাংলা ভাষা বলার জন্য নির্যাতন করা হচ্ছে, তাদের জেলে পাঠানো হচ্ছে, তাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।

মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় এই ইস্যুতে একটি মিছিল করা হয়েছে। তাদের নির্দেশে আসানসোলেও এই মিছিল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিজেপি বাংলা ভাষার অবমাননা এবং রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর অত্যাচারের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এই পশ্চিমবঙ্গেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, কাজী নজরুল ইসলাম, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো মহাপুরুষদের জন্ম। তারা সর্বদা ধর্মীয় ও ভাষাগত সম্প্রীতির কথা বলেছেন। বিজেপি যেভাবে ধর্ম, ভাষা এবং বর্ণের নামে দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কারণ তিনি এমন একজন নেত্রী যিনি সকলের নেত্রী। এই কারণেই বিজেপি বাংলায় ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় সফল হচ্ছে না।জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি এমন একটা দল, যারা ধর্ম ছাড়া রাজনীতি করতে পারেনা। মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ তৈরি করা এদের প্রধান লক্ষ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করেছেন।