প্রধানমন্ত্রীর সভার আগের দিন আক্রমণাত্মক বিজেপির রাজ্য সভাপতি , ” বাঙালি অস্মিতা ” নিয়ে শাসক দল কটাক্ষ, বাংলার বকেয়া নিয়েও জবাব
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার ঠিক আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের মুখোপাধ্যায় হয়ে ” বাঙালি অস্মিতা ” ও কেন্দ্রের কাছ থেকে বাংলার বকেয়া পাওয়া নিয়ে আক্রমণাত্মক বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি তিনি আশাবাদী যে, আজ থেকে ঠিক এক বছর পরে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত হাত ধরে বাংলায় সুদিন ফিরবে। “টাকা নাও হিসাব দাও”, ঠিক এইভাবেই এদিনরাজ্যের পাওনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার কথায় রাজ্যের সরকার বলছে, টাকা পাওয়া, তাদের অধিকার। কিন্তু হিসাব দেওয়া, তাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না।




বঙ্গ সফরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার ঠিক আগের দিন বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলার বকেয়া নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রাপ্য ২ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য সরকার বলছে টাকা নেওয়াটা তাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। হিসাব দেওয়াটা আমাদের অভ্যাসের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু সেটা চলবে না।দুর্গাপুরে বন্ধ থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএএমসি বা এইচএফসিএল কারখানা খোলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এক বছরের মধ্যে উন্নতি মানুষ দেখতে পাবেন। একজন শিল্পপতি দেশের যে কোন রাজ্যে শিল্প করতে পারেন। শিল্পপতি তো নিজের সুবিধা ও মুনাফা দেখবেন। সেটাই স্বাভাবিক।
দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় সরকার বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে সেগুলোর পুনর্জীবন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, শিল্প গড়তে হলে, একটা জমি নীতি দরকার। তা, না হলে, অনেক সমস্যা হয়। রাজ্য,বিজেপি সভাপতি বলেন, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দুটি সভা রয়েছে দুর্গাপুরে। ৫ হাজারের বেশি টাকার সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও পরে জনসভা। প্রধানমন্ত্রী দুপুর আড়াইটের সময় বিহার থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে নামবেন। সেখান থেকে তিনি নেহরু স্টেডিয়ামে আসবেন। সরকারি প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ডিভিসির রঘুনাথপুর ও মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্প্রসারণ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেলের দুর্গাপুর কলকাতা গ্যাস পাইপ লাইন, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া সিটি গ্যাস লাইন, তপশি ও পান্ডবেশ্বরে রেলওয়ে ওভারব্রিজ, ডিএসপির ব্লাস্ট ফার্নেস।