২০০১ সালের খুনের মামলা, আসানসোল আদালতে ২৪ বছর পরে সাজা ঘোষণা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ২০০১ সালের খুনের মামলা। দু’যুগ বা ২৪ বছর পরে সেই খুনের মামলায় তিন দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো আসানসোল আদালতে। শুক্রবার আসানসোল আদালতের এডিজে স্পেশাল কোর্টের বিচারক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এই সাজা ঘোষণা করেন। তারা হলেন, লক্ষণ তাঁতি, বিজয় তাঁতি ও ভক্তি তাঁতি। এরা আসানসোলের সালানপুর থানার বড়মুড়ির বাসিন্দা। এই তিনজনেরই বর্তমান বয়স ৬০ পার করেছে। এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ছিলো ৮ জন। তার মধ্যে মুল অভিযুক্ত অনাথ তাঁতি সহ ৫ জন আদালতে মামলা চলাকালীন মারা গেছেন। এই মামলার সরকারী আইনজীবী বা পিপি হিসেবে ছিলেন শিবনাথ রায়।




এই মামলায় মোট ১৯ জন আদালতে বিচারকের কাছে সাক্ষ্য দেন। সাজা প্রাপ্ত তিনজন সহ মোট ৮ জনই সেই সময় সালানপুরের সিপিএমের নেতা ও কর্মী ছিলেন। সরকারি আইনজীবি ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে সালানপুরের বড়মুড়ি গ্রামে একদল সিপিএমের নেতা ও কর্মী ঐ গ্রামের বাসিন্দা রাম মন্ডল ও তার স্ত্রী সুমিত্রা মন্ডলের উপরে লাঠি ও বল্লম নিয়ে হামলা চালায়। সেই হামলায় মন্ডল দম্পতি গুরুতর জখম হন। তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই চিকিৎসারত অবস্থায় রাম মন্ডল হাসপাতালে মারা যান। সুমিত্রা মন্ডল চিকিৎসায় সুস্থ হন।
এই নিয়ে সুমিত্রা মন্ডলের বোন কুসুম মন্ডল সালানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মুল অভিযুক্ত অনাথ তাঁতি সহ আটজনের নামে সালানপুর থানার পুলিশ ভারতীয় দন্ডবিধি বা আইপিসির ৩০৪, ৩০৭ ও ৩৪ নং ধারায় মামলা করে। মৃত রাম মন্ডল পেশায় রিক্সা চালক ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি এলাকার রিক্সা চালকদের ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। রাজনৈতিক কারণেই সেই সময় সিপিএমের নেতা ও কর্মীরা হামলা চালিয়েছিলো বলে অভিযোগ। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে এই মামলার সরকারি আইনজীবী শিবনাথ রায় বলেন, ২৪ বছর ধরে এই মামলা চলাকালীন অবস্থায় মুল অভিযুক্ত অনাথ তাঁতি সহ ৫ জন মারা যান। এদিন এডিজে স্পেশাল কোর্টের বিচারক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বাকি তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এদিন তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।