ASANSOL

আসানসোলে নুনিয়া নদী থেকে বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* বাড়ির অদূরে নুনিয়া নদীতে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হলো বাবা ও ছেলের। আসানসোল উত্তর থানার কাল্লা মোড়ের কাছে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে। শুক্রবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিভিল ডিফেন্সের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের ডুবুরিরা স্পিডবোট নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করে। আসানসোল উত্তর থানার কাল্লা মোড়ের বাসিন্দা মৃত বাবা ও ছেলের নাম হলো অনিল কুমার ( ৫০) ও অমন (১৭)।

এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে দুজনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল উত্তর থানার কাল্লা মোড়ের বাসিন্দা বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ বাবা অনিল কুমার হরিজন ও ছেলে অমন হরিজন বাড়ির অদূরে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে নুনিয়া নদীতে স্নান করতে যায়। বিকেলের পরেও তারা বাড়ি ফিরে না, আসায় বাড়ির লোকেরা তাদের খোঁজ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষন পরে তারা দেখতে পান যে, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে নুনিয়া নদীর চাষী ঘাটে তাদের মোবাইল ফোন, জামা কাপড় ও চটি রয়েছে। তারা বুঝতে পারেন যে, বাবা ও ছেলে নদীতে নেমে কোনভাবে নদীর জলে স্নান করতে নেমে ডুবে গেছে।

এই খবর জানাজানি হতেই নদীর পাড়ে এলাকার বাসিন্দারা ভিড় জমান। আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা নদীতে নেমে বাবা ও ছেলের খোঁজে তল্লাশি চালান। কিন্তু তাদের খোঁজ পাওয়া যায় নি। এদিকে অন্ধকার নেমে আসায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে, আর তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিভিল ডিফেন্সের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ ডুবুরিরা এলাকায় আসেন। নদীতে স্পিডবোট নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষন পরে নদীর জলের মধ্যে পাথর খাঁজে আটকে থাকা বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাবা ও ছেলে নুনিয়া নদীতে স্নান করতে নেমেছিলো। কিন্তু কোনভাবে তারা নদীর মধ্যে পাথরের খাঁজে আটকে যান। সেখান থেকে তারা আর উঠতে পারেননি। ঘটনার সময় আশপাশে কেউ না থাকায়, জানাজানি হয়নি। এদিকে, এই ঘটনায় কাল্লা মোড় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। হরিজন পরিবারের সদস্যরা বুঝেই উঠতে পারছেন না যে, কি করে এমন ঘটনা ঘটলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *