আসানসোলে ছিনতাইয়ের ঘটনা, কয়েক ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ৪, উদ্ধার ২ লক্ষ টাকা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলের জিটি রোডে প্রকাশ্য দিবালোকে গান পয়েন্টে রেখে ১১ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় কয়েক ঘন্টার মধ্যে ৪ অপরাধীকে গ্রেফতার করলো আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। ছিনতাই হওয়া ১১ লক্ষ টাকার মধ্যে ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। একইসাথে পাওয়া গেছে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহার করা একটি মোটরবাইক ও একটি ৭ এমএম পিস্তল। ২৬ জুলাই শনিবার বিকেলে আসানসোলের জিটি রোডের সাতাইসার কাছে এই টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিলো।




কুলটি থানার নিয়ামতপুরের বাসিন্দা চাল ও আটা ব্যবসায়ী রাকেশ জুলানিয়ার দুই কর্মী মুন্না ওরফে রবীন্দ্রনাথ সিং ও সুজিত প্রসাদ ১১ লক্ষ ৬ হাজার টাকা কালেকশন করে মোটরবাইক করে যাচ্ছিলেন। সেই সময় সাতাইসা মোড়ে একটি মোটরবাইক করে আসা দুজন তাদের পথ আটকায়। বন্দুক তাক করে তাদের কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালায় ছিনতাইকারীরা। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ আসানসোল সহ গোটা এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। এরপর দ্রুত পদক্ষেপের ফলে ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে চার অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনায় পুলিশ সব অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে এমনটা নয়, বরং লুট হওয়া টাকার কিছুটা উদ্ধার করেছে। এর সাথে সাথে অপরাধে ব্যবহৃত মোটরবাইক ও পিস্তল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে রবিবার সকালে আসানসোলে ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় রাহুল বার্নওয়াল, অভিষেক প্রসাদ, সারওয়ান মণ্ডল ও দীপঙ্কর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে রাহুল এবং অভিষেককে গ্রেফতার করা হয় আসানসোলের কাঁকড়শোল থেকে। তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, বাইক এবং ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদেরকে জেরা করে কুলটির নিয়ামতপুর থেকে সারওয়ান মন্ডল ও সীতারামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) আরো বলেন, অভিষেক প্রসাদ বাদে বাকি তিনজনের আগে এখনো পর্যন্ত পুরনো কোন যোগসূত্র পাওয়া যায় নি। এর আগে জামুড়িয়ায় একটি খুনের ঘটনার সঙ্গে অভিষেক অভিযুক্ত ছিলো। এদিকে, ধৃত নিয়ামতপুরের বাসিন্দা সারওয়ান মন্ডলের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে জানা গেছে। তার সঙ্গে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও পুলিশ অফিসারদের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছবি রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে শোরগোল পড়েছে। যদিও, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, সারওয়ানকে দুবছর আগে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।