বৃষ্টির কারণে এবার ধসে পড়ল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ :;টানা বৃষ্টির কারণে এবার ধসে পড়ল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি। শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনাটি ঘটে রানিগঞ্জের বল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বক্তানগর গ্রামের ঝরে কুলি বাউরি পাড়ায়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় পঞ্চায়েত সদস্য সৌমেন বাউরী তার স্ত্রী শকুন্তলা কে সঙ্গে নিয়ে ওই মাটির বাড়িতে তার এক ছেলে ও মেয়ের সাথে ঘুমোচ্ছিলেন, সেই বাড়ির মধ্যে রাত্রি সাড়ে বারোটা নাগাদ হঠাৎ করেই চাল ও মাটির দেয়াল ধসে পড়ে একেবারে ঢাকা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তার স্ত্রী শকুন্তলার।




দেয়াল ধসেপড়া ও তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের মানুষজন পাড়া-প্রতিবেশী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ির মধ্যে থাকা সকল সদস্যদের উদ্ধার করে। আকস্মিক ঘটা এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তারা এই ধসের জেরে চাপা যায় বাড়ির বিভিন্ন সামগ্রী। বাড়ির এক পাশে থাকা শৌচালয় ভেঙে যায় এই ধসের জেরে। জানা যায় ২০২০ সালে যখন সৌমেন বাউরী পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন না তখনই তিনি ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, অভিযোগ বাড়ি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্য সকল ব্যক্তিদের বাড়ি তৈরি হলেও তার বাড়ির নকশা ও বিভিন্ন বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ করলেও বাড়ি তৈরীর কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
তিনি দাবি করেন তার আশেপাশে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বাড়ি তৈরির কাজ হয়েছে কিন্তু উপেক্ষিতই থাকতে হয়েছে তাদের। গ্রামের চারপাশে লক্ষ্য করলে দেখা যায় বেশিরভাগ অংশেই রয়েছে কাচা বাড়ি যা এই বৃষ্টির কারণে অনেকটাই প্রভাবিত হয়ে রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি বারংবার বাড়ি তৈরির জন্য তারা আবেদন করে থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। শুধুমাত্র যে সকল ব্যক্তিদের শাসকদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে তাদের বাড়িঘর তৈরির জন্যই বিশেষভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রকৃতই যারা অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছেন তাদের ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় না বলে দাবি। শনিবার রাত্রে এই ঘটনার জেরে গৃহীন হয়ে পড়েছে ওই পঞ্চায়েত সদস্য এলাকাবাসীর দাবি বাড়িটি বিপদজনক অবস্থায় থাকার কারণে বসবাস অযোগ্য হয়ে রয়েছে তাই তাদের কোন স্কুল বা ক্লাব ঘরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য থাকতে দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। এখন দেখার অসহায় এই সকল পরিবারগুলির ক্ষেত্রে মাটির বাড়ির পরিবর্তে পাকা বাড়ি তৈরিতে কত দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করে ব্লক প্রশাসন।