সালানপুরের স্কুল পড়ুয়া নাসিক থেকে উদ্ধার, পরিবারকে ফেরালো পুলিশ
পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট, ভয়ে বাড়ি ছাড়ে



বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, সালানপুর * স্কুলের পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট হয়। কিন্তু তা বাড়ির লোকেদের কাছে চেপে যায়। অন্য রেজাল্টের কথা সে বাড়ির লোকেদেরকে বলে। কিন্তু পরে বাড়ির লোকেরা তা স্কুলে গিয়ে জানতে পারে। আর এতেই ভয় পেয়ে যায় আসানসোলের সালানপুর থানার রুপনারায়নপুর ডিএভি স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া। তারপর সে গত ১৯ জুলাই ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ৮ দিন পরে গত শুক্রবার ২৫ জুলাই মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে তাকে উদ্ধার করেছিলো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সালানপুর থানার পুলিশ। রবিবার তাকে নাসিক থেকে সালানপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। সোমবার ঐ স্কুল পড়ুয়াকে সালানপুর থানার পুলিশ আসানসোল আদালতে পেশ করে। সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক তাকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মতো পুলিশ তাকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।

পুলিশ সূত্রে জানায় , সালানপুর থানার রুপনারায়নপুরের বনজেমারি এলাকার বাসিন্দা ১৫ বছরের এক ছাত্রীর পরিবারের তরফে একটি অপহরণের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিলো সালানপুর থানায়। পুলিশ তদন্তে নেমে ৮ দিনের মাথায় মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে উদ্ধার করে তাকে। পুলিশ জানায়, পড়ুয়া নিজেই নিজেকে অপহরণের কষে বাবার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপন চেয়েছিলো। পরিবারের তরফে পড়ুয়ার দাদা শাহনওয়াজ খান এদিন বলেন, দশম শ্রেণীর পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য বাবার ভয়ে সে পালিয়ে গেছিলেন ট্রেনে চেপে। সে ভেবেছিলো বিহারে দিদিমার কাছে যাবে। কিন্তু আসানসোল থেকে ভুল ট্রেনে চেপে পড়ায় সে মহারাষ্ট্রে চলে যায়। তার কাছে কোন টাকাপয়সা না থাকায়, সে অপহরণের গল্প ফাঁদে ও বাবার কাছ থেকে টাকা চায়। তিনি বলেন, আমরা খুশি যে সালানপুর থানার পুলিশ তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে।