শুভদর্শিনি হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মীদের, মারধরের প্রতিবাদ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : নিরাপত্তারক্ষীরায় এবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে হাউসকিপিং স্টাফেদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালের কাজ বন্ধ করে দেখালো বিক্ষোভ। অভিযোগ মঙ্গলবার গভীর রাতে রানীগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকে অবস্থিত রাণীগঞ্জ স্কয়ারে, সদ্য গড়ে ওঠা শুভদর্শনী হাসপাতালে একসাথে বেশ কিছু জন রোগীর পরিজন কে রোগীর আই সি ইউ ওয়ার্ডে যেতে বাধা দেওয়ায় রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা সেখানে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীর সুপারভাইজার ও দুইজন মহিলা এটেন্ডেন্স কে মারধর করলেও তাদের বাঁচানোর জন্য কোন উদ্যোগ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ কর্মীদের।




এই ঘটনায় হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষী প্রকাশ রুইদাস কে ব্যাপকভাবে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সাথে তাকে বাঁচাতে আসা দুই মহিলা এটেন্ডেন্স কর্মী রিনা বাউল ও সোনালী সূত্রধর কে মারধর করা হয় ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। এই অভিযোগ সামনে আসার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এই দাবি তুলে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাত্রেই পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিলে রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও এর মধ্যেই যে সকল রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা ছিল তারা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। বুধবার এ বিষয়ে পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর সেখানেই ওই আহত হাউসিংস্টাফ ও অন্য সকল নিরাপত্তা রক্ষীরা এ সকল বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলে হাসপাতালের কাজ বন্ধ করে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে তারা উদ্যোগ নেবেন ও আহতদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিলে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
জানা গেছে অন্ডালের একটি মহিলা এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন তা শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউ ইউনিটে ভর্তি করা হয় সেখানে রাত্রে যাওয়ার কোন অনুমতি না থাকলেও রোগীর ১২-১৪ জন আত্মীয় একযোগে সেই রোগীর সঙ্গে জোর করে দেখা করতে যায় আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। অভিযোগ সেসময় নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের একসঙ্গে যেতে বাধা দিলে তারা একযোগে হামলা চালায় এই ঘটনায় নিরাপত্তা রক্ষীর কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত লাগে, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন কারা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সেই সকল বিষয় নিয়ে খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছে।