আসানসোল ডেঙ্গুর মোকাবিলা, জলাশয়ে ছাড়া হবে ২ লক্ষ ” গাপ্পি” মাছ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* প্রতি বছর বর্ষাকাল আসার সাথে সাথেই ডেঙ্গুর আতঙ্ক তাড়া করতে শুরু করে। এই বছরেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যাপক আকার হলেও, আসানসোল পুরনিগম এলাকায় এই মুহুর্তে ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেকেই হয়েছেন। কেউ চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন। কারোর আবার চিকিৎসা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করা ও তার মোকাবিলায় আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে । তার মধ্যে একটি হল পুকুর এবং জলাশয়ে একটি বিশেষ ধরণের মাছ ছাড়ার বিষয়টি। তাকে “গাপ্পি ” মাছ বলা হয়। এই মাছ ডেঙ্গু মশার লার্ভা খায়। যে কারণে ডেঙ্গু মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না।




বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল পুরনিগমের ৪ নম্বর বোরোর ২০ হাজার গাপ্পি মাছ দেওয়া হয়েছে। যা এই বোরোর বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুকুর ও জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বন্ধ করা যায়। এদিন মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা এই মাছ তুলে দেন। এ বিষয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ গাপ্পি মাছ দেওয়া হয়েছে। সেই মাছ পুরনিগমের দশটি বোরো এলাকায় বিলি করা হবে। এটি প্রথম পর্যায়ে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আসানসোল পুরনিগমএলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছর আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে গাপ্পি মাছ দেওয়া হয়। এদিন, ৪ নং বোরো এলাকার সকল ওয়ার্ডের জন্য ২০ হাজার গাপ্পি মাছ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই মাছ দিয়ে ডেঙ্গু বৃদ্ধি বন্ধ করা সম্ভব। এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। অন্যদিকে, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক বলেন, এদিন গাপ্পি মাছ বিতরণ করা হয়েছে যা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়তা করবে। আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। তবে সাধারণ মানুষের পুরনিগমের সাথে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। তাদের নিশ্চিত করা উচিত যে তাদের বাড়িতে কোথাও জল জমে না থাকে। কারণ ডেঙ্গু মশা জমে থাকা জলে বংশবৃদ্ধি করে। এছাড়াও, তিনি বলেন, আসানসোল পুরনিগমের স্যানিটেশন বিভাগের কর্মী বা নির্মল সাথী নির্মল বন্ধু প্রকল্পের কর্মীরা যখন ডেঙ্গু পরিদর্শনের জন্য বাড়িতে যান, তখন তাদের সহযোগিতা করুন। তারা যা জানতে চাইবেন, তা বলবেন। যাতে তাদের মাধ্যমে আসল ছবি আসানসোল পুরনিগমের কাছে পৌঁছাতে পারে।