ASANSOL

আসানসোলে মহাবীর স্থানের খুঁটি পুজো মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন ও পুনর্নির্মাণের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল জিটি রোডের হেড পোস্ট অফিস সংলগ্ন মহাবীর স্থান মন্দির সর্বজনীন দুর্গাপূজো, মহাবীর আখড়া সমিতি দুর্গাপূজোর খুঁটি পুজো, মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন ও পুনর্নির্মাণের জন্য রবিবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি সংকল্প পূজোরও আয়োজন করা হয়েছিলো। এদিন সকালে প্রথমে, মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সৌরভ মিশ্রের আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুর্গাপূজোর খুঁটি পুজো হয়। এরপর মহাবীর স্থানের সৌন্দর্যায়ন ও পুনর্নির্মাণের কাজ নতুন রূপে করার জন্য অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়। মন্দিরটি সম্পূর্ণ সংস্কার করা হচ্ছে। রাজস্থানের মাকরানা মার্বেল দিয়ে সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। সমস্ত পুজো শেষ হওয়ার পর, মন্দিরের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। এই কাজ ব্যাঙ্গালুরুর এক শিল্পীকে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং মন্দির কমিটির সভাপতি সোমনাথ গোড়াই একসাথে দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজো করেন।

এই উপলক্ষে, মন্দির কমিটির সম্পাদক অরবিন্দ সাউ মন্ত্রী মন্ত্রীকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানিয়ে বলেন , এই বছর ৯৯তম দুর্গাপূজো উদযাপন করা হবে। পূজোর সময় প্রতিদিন অত্যন্ত সুন্দর সাজসজ্জা করা হচ্ছে। প্রসাদ বিতরণ করা হবে। বিজয়া দশমীর দিন আরতির পরে জাঁকজমকের সাথে বিসর্জন দেওয়া হবে। ২০২৬ সালে দুর্গাপূজো ১০০ বছর পূর্ণ করছে। যার প্রস্তুতি এই বছরের পূজোর পর শুরু হবে। তিনি জানান যে, এদিন মন্দির সংস্কারের জন্য সংকল্প পূজো করা হয়েছে। পূজোর পর মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে। সকল নাগরিকের সহযোগিতায় এই কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। কোষাধ্যক্ষ বিবেক বর্ণওয়াল বলেন, এই শুভ দিনে মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।

ঈশ্বরের অসীম কৃপায় আমরা এই কাজটি করতে পেরেছি। ঈশ্বর আমাদের সকলকে শক্তি দিন যাতে আমরা যে দায়িত্বই পেয়ে থাকি না কেন, তা খুব ভালো এবং যথাযথভাবে পালন করতে পারি। এবং সকল নাগরিককে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সহ-কোষাধ্যক্ষ অঙ্কিত খৈতান বলেন, আমরা মন্দিরের সৌন্দর্যায়নের জন্য ব্যাঙ্গালুরুতে শিল্পীর কাজ দেখতে গেছিলাম। সেখানে অনেক মন্দির পরিদর্শন করেছি। এরপরে সেখানকার এক শিল্পীকে কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। শিল্পী শাস্ত্র অনুসারে নকশা তৈরি করেছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ মনোহর ভাই প্যাটেল, রবীন্দ্র পাসারি, দীপক গুপ্ত, বিজয় শর্মা, জগদীশ বাগদি, অনিল জালান, মুরলি ভগত, অরুণ আগরওয়াল, শোভন বসু, মুকেশ টোডি, অশোক আগরওয়াল, সুরেন্দ্র বার্নওয়াল, শিব প্রসাদ ভার্মা, রাজীব সিং, প্রদীপ কুমার ও মন্দির কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *