ASANSOL

আসানসোলে নুনিয়া নদীতে তলিয়ে যাওয়া পড়ুয়ার দেহ ২৪ ঘন্টা পরে উদ্ধার

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* ২৪ ঘন্টা পরে মঙ্গলবার বেলা বারোটা নাগাদ আসানসোলে নুনিয়া নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়া দশম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হলো। আসানসোল উত্তর থানার আসানসোল পুরনিগমের ২৫ নং ওয়ার্ডের রেলপারের বাবুয়াতলাওয়ের গুলজার মহল্লার বিপিএল কলোনির বাসিন্দা মৃত স্কুল পড়ুয়ার নাম মহঃ রেহান আনসারি (১৭)। এদিন দুপুর আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্কুল পড়ুয়ার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। পরে সেই দেহ পুলিশ বাবা মহঃ আলি হোসেন আনসারির হাতে তুলে দেয়।

সোমবার ঘটনার পর থেকে মৃত স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যদের পাশে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমে ২৪ নং ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর ফনসবি আলিয়া ও ২৫ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর এস এম মুস্তাফা। প্রসঙ্গতঃ, আসানসোলের রেলপার এলাকার বাসিন্দা রেহান আনসারি সহ জনা সাতেক স্কুল পড়ুয়া সোমবার সকাল দশটা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলো। কিন্তু তারা স্কুলে না গিয়ে বাড়ির অদূরে নুনিয়া বুড়ি মন্দির লাগোয়া নুনিয়া নদীতে স্নান করতে চলে যায়। তারা সবাই রেলপারের হাজি কদম স্কুলের পড়ুয়া৷ তার মধ্যে দশম শ্রেণীর পড়ুয়া রেহান আনসারি নদীতে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে যায়। এই ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আসানসোল উত্তর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একইভাবে রেহানের বাবা সহ পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারাও ঘটনাস্থলে আসেন। তারা সবাই মিলে নদীতে নেমে রেহানের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু বর্ষার বৃষ্টির কারণে নদীর একেবারে ফুলেফেঁপে উঠেছে। এরপর পুলিশের তরফে ডেকে পাঠানো হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ বা ডিএমজিকে। নদীতে স্পিডবোট নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে ডিএমজির বিশেষ উদ্ধারকারী দল। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যে পর্যন্ত তারা স্কুল পড়ুয়াকে উদ্ধার করতে পারেনি।

মঙ্গলবার সকালে অন্য একটি উদ্ধারকারী দল নদীতে তল্লাশিতে নামে। বেলা বারোটা নাগাদ, নুনিয়া নদীর ঠিক যে জায়গায় সোমবার সকালে ঐ স্কুল পড়ুয়া ডুবে গেছিলো, বলতে গেলে সেখান উদ্ধার করা হয় তার দেহ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকা আসানসোল পুরনিগমের ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর বলেন, নদীর ঐ জায়গায় ১৮/২০ ফুটের মতো একটি গভীর খাদ আছে। সেখানেই ঐ স্কুল পড়ুয়া ডুবে যায়। ওর সঙ্গে থাকা তার বন্ধুদের সেখান থেকে শেষ সে হাত তুলে দেখিয়েছিলো। অন্য দিকে, পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, পরিবারের তরফে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *