ASANSOL

আসানসোলে সেন্ট্রাম মলে দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব, আতঙ্কিত কর্মী থেকে এলাকার বাসিন্দারা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল শহরের সেন্ট্রাম মলে দুষ্কৃতি দলের তান্ডব। সোমবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আসে। তবে পুলিশকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই দুষ্কৃতি তান্ডবে আরো একবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনা শুধুমাত্র মলের কর্মীদেরই নয়, সেখানে থাকা সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি মলের পার্কিং এলাকায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

সূত্রের খবর, এই ঘটনা ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায়। যখন কয়েকজন যুবক সেন্ট্রাম মলে আসা কিছু যুবকের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ছিল ১০/১২ জনের একটি দল। তাদের হামলায় দুই যুবকের মাথা ফেটে যায়। এলাকার বাসিন্দারা দুজন হামলাকারীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।জানা গেছে, হামলাকারীরা আশেপাশের এলাকারই বাসিন্দা। তবে এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল উত্তর থানায় লিখিত ভাবে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পরে দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।এও দাবি করা হয়েছে, এই দুষ্কৃতি দল প্রায়ই মলে এসে এই ধরনের ঘটনা ঘটায়। কিছুদিন আগেই এক যুবতীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সাধারণ মানুষেরা ভয়ে এবং আইনি ঝামেলার আশঙ্কায় অভিযোগ দায়ের করতে চান না। অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশও এদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। ফলে তাদের মনোবল আরো বেড়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই তারা একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতিরা শুধুমাত্র মলে আসা মানুষদেরই নয়, দোকানদার ও অন্যান্য কর্মচারীদেরও হুমকি দেয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরে এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটলেও পুলিশের তরফে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। পাল্টা পুলিশের দাবি, অভিযোগ না পাওয়ায় তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। যা দুষ্কৃতীদের উৎসাহিত করছে।

বেঙ্গল সৃষ্টি গ্রুপের প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট হেড বিনয় চৌধুরী এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার কথা জানিয়েছেন।স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই ধরনের ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, পুলিশ যদি সময়মতো ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরীর কাছে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি করেছেন তারা। শহরবাসীর মতে, এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র শহরের ভাবমূর্তিই নষ্ট করে না, ব্যবসার উপরেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *